বিশেষ রিপোর্টার, বরিশাল::
জানা গেছে, নগরীর বটতলা এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ জমির জন্য সেখানে যান বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে। ওই ঘরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বসবাস করেন। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সেখান থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই স্থানে আসেন দুই পক্ষের মধ্যেই চলে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে চলে হাতাহাতি তারি জেরধরে গভীর রাতে অশান্ত হয়ে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উভয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। রাত ৪টা পর্যন্ত হামলা চলে। এতে আহত হয়ে অন্তত ৫১ জন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
দাবি করা হচ্ছে, কলেজের শিক্ষার্থীরা তখন তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এরপর বিএম কলেজের এক বৈষম্যবিরোধী নেতার ওপরও হামলা চালানো হয়। এরপর থেকে উভয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। রাতে ববি শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজের সামনে এলে শুরু হয় সংঘাত। পরে তা ভয়াবহ আকারে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এদিকে গভীর রাতে সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মঙ্গলবার রাত ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনশিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মঙ্গলবার রাত ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসকেরা জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিরোধপূর্ণ বাড়ি দখল করাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে হয়। মঙ্গলবার বিকেলে স্ব-স্ব ক্যাম্পাসের সামনে ওই মানববন্ধন করেন ববি ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।