মুলাদী প্রতিনিধি (তালুকদার খোকন):
মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ-ছৈলা নদীর অব্যহত ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা, স্কুল কলেজ মাদ্রসা সহ ফসলি জমি। উপজেলার নবাবেরহাট লঞ্চঘাট, নন্দীর বাজার, মুলাদী রাস্তামাথা সহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরা ভিটেহারা হয়ে ফসলী জমি, পুকুর ও বাগান হারিয়ে নিঃশ^ হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম এলেই নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা অনাঙ্খিত নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক অজানা আশঙ্কায় বিনিদ্র রজনী পার করছে। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মুলাদী সদর ইউনিয়নের নবাবের হাট থেকে নন্দীর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কি ঃ মি ঃ এলাকা রাতে আধারেই হঠ্যাৎ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে স্থানীয় আ ঃ রব মৃধার পুকুর থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ, লক্ষাধিক টাকার ফলজ বনজ গাছ ও বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। এতে করে আঃ রব মৃধা ও তার পরিবার ও পাশ^বর্তী মাহাবুব,নুরুল ইসলাম সহ অসংখ্যা মানুষ নিঃস্ব হয়ে নদীতীরে আহাজারী করছে। আকষ্কিক এ নদী ভাঙ্গনে এই এলাকার হেক্টর হেক্টটস জমি গ্রাস করছে আড়িয়াল খা ও ছৈলা নদী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রি কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম ভাঙ্গন কবলিত এসব এলাকা পরিদর্শন করে নদী শাসনের আশ^াস দিলেও এই এলাকার মানুষের ভাগ্যে এখনো এর সুফল মেলেনি ! নবাবের হাট থেকে নন্দীর বাজার লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীনের বিষয়টি অবহিত করে মুলাদী বাবুগঞ্জের আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিয়িাম সদস্য আলহাজ¦ গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে যাওয়া হলে তিনি জানান নদী ভাঙ্গনের বিষয় কেউ লিখিত ভাবে জানালে পানি সম্পদ মন্ত্রির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মুলাদী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কামরুল আহসানের কাছে করনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য উপজেলা,নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে অবহিত করা হয়েছে।