ডেক্স রিপোর্ট:
উজিরপুরের পূর্ব মুন্ডপাশায় চরমোনাই পীরের নাম ব্যবহার করে জমিদখল চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে চরমোনাইর পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম, মুন্ডপাশার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন মীর এবং সুলতান হাওলাদারকে আসামী করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৫ মার্চ জমি দখলের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন উজিরপুরের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের হারুন অর রশিদ খলিফা। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় এটি দায়ের করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৭ মার্চ সকালে মন্ডুপাশায় আসামীপক্ষ ঘর করার সামগ্রী নিয়ে এসে জমি দখলের চেস্টা চালায়। এতে বাদীপক্ষ বাঁধা দিলে তারা আবারো এসে দখল করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আসামীপক্ষ বরিশালের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে বাদীপক্ষ মামলা দায়ের করেন। উজিরপুর থানা পুলিশ, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে ধরনা দিয়ে কোন সহযোগীতা পায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জমিতে কোরআন শিক্ষা বোর্ডের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে মারকাজুল কারিম শামেলা মাজেদ কওমী মাদরাসার নাম রয়েছে। পার্শ্বেই ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের যতটুকু জমি রয়েছে তার অন্তত ৭ শতাংশ জমি বেশি দখল করেছে। এতে বার বার বাধা দিলেও তারা কর্নপাত করছেনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল দপ্তরের একটা সদয় দৃস্টির সুযোগ নিচ্ছে তারা।
এদিকে এই মাদরাসার জমিদাতা মৃত মাজেদ মীরের ছেলে সোহরাব মীর বলেন, আমি ঐ জমি ক্রয় করে চরমোনাই পীর পরিচালিত কোরআন শিক্ষা বোর্ডে দান করেছি। সেখানে যদি বেশী জমি দখল হয়ে থাকে তা চরমোনাইর ব্যাপার। ওখানে আমার কোন লাভ-লস নেই। তারা চাইলে চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের কাছে যেতে পারে।
এদিকে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী সেই জমি দখলের সংবাদে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। দীর্ঘদিন যাবত অনেকের কাছে গিয়েছি কিন্তু চরমোনাই পীরেরা শক্তিশালী হওয়ায় কেউই মাথা ঘামাতে চাচ্ছেনা। আমরা দুর্বল দেখে থানা পুলিশ সহ কেহই পক্ষে কথা বলছেনা।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান বলেন, এমন একটি ঘটনা আমরা জানি। তবে জমিজমার ব্যাপারে তো আমাদের কিছু করার নেই। আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতির সম্ভাবনা দেখলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
উজিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) জয়দেব চক্রবর্তী মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। এই মামলার ব্যাপারে কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছিনা। আর চরমোনাইর পীর জমি দখল করলে তার সাথে কথা বলেন।