অনলাইন ডেস্ক::
দীর্ঘদিন সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে দূরে বাংলাদেশ। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললেও, এ সময়টাতে বড় পরিসরের ম্যাচ খেলা হয়নি টাইগার ক্রিকেটারদের। এ বিরতিটা উইন্ডিজকে স্বাগতিকদের থেকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স। তবে, ঘরের মাঠে সাকিব-তামিমদের মত অভিজ্ঞরা চাইলেই এ প্রতিবন্ধকতা উতরে যেতে পারবেন বলেও মনে করেন তিনি। তাই, শিষ্যদের অতি আত্মবিশ্বাসী না হয়ে, ওয়ানডের মতোই আন্ডারডগ হয়ে মাঠে নামার পরামর্শ সিমন্সের।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের পুরো সময়টায় লকডাউনে বন্দী ছিলো বাংলাদেশ। নিজেদের ঘরে টুকটাক এক্সারসাইজ করেই দিন কাটিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করার পরও, মাঠে ফিরতে পারেননি ব্যাট-বলের মানুষেরা।
অন্যদিকে দ্রুততার সঙ্গে সব সমস্যা মিটিয়ে, নিজেদের জন্য বায়ো-বাবল তৈরি করে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড। তাদের কল্যাণে মাঠে ফিরে আসে ক্রিকেট ম্যাচ। এরপর পুরোটা সময় নানা দেশ ঘুরে ঘুরে সাদা আর রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে মেতে ছিলো ক্যারিবীয়রা।
এর আগেও বহুবার এমন বড় বিরতি দিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু, এবারের অবস্থাটা একেবারেই ব্যতিক্রম। নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ছাড়া যে কোন প্রস্তুতিই নিতে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের এ মাথাব্যথাটাই আবার সুবিধা করে দিয়েছে অতিথিদের। টানা খেলার মধ্যে থাকায়, অনেকটাই এগিয়ে থেকে সিরিজে নামবে উইন্ডিজ।
উইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স বলেন, তারা প্রায় এক বছর টেস্ট খেলছে না। এত বড় বিরতির পর খেলতে নামা বেশ কঠিন। বাংলাদেশকেও শুরুতে কিছুটা সমস্যা পড়তে হবে। আমরা সেই সুযোগটাই নিতে চাই। আমার ছেলেরা খেলার মধ্যেই ছিলো। আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকবো বলেই মনে হচ্ছে।
তবে, বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন তামিম-সাকিব-মুশির মতো ক্রিকেটাররা। যাদের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিস্তর। তাই, এই বিরতি তাদের সমস্যায় ফেললেও, এ পরিস্থিতি থেকে উৎরানোর কৌশল অবশ্যই জানা আছে তাদের। সঙ্গে ঘরের মাঠের উইকেটটাও যে কথা বলবে স্বাগতিকদের পক্ষেই। তাই তো শিষ্যদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে পরামর্শ দিয়েছেন সিমন্স।
উইন্ডিজ কোচ বলেন, বাংলাদেশ দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা চাইলেই ম্যাচ পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন। আমার তাদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা আছে। তবে, অনেক দিন খেলার মধ্যে না থাকায়, তারাও শুরুতে কিছুটা ভঙ্গুর থাকবে। আমাদের ম্যাচের শুরুতেই তাদের পরীক্ষায় ফেলতে হবে। তারা টিকে গেলে ভয়াবহ হবে।
বাংলাদেশ দলে স্পিনারের আধিক্য থাকবে তার আভাস দিয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেট। আর ওয়ানডেতে ঘূর্ণি বলে উইন্ডিজের দুর্বলতা তো দেখেছে পুরো বিশ্ব। তবে, টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বাজি ধরতে চান ক্যারিবীয় গুরু। বরং, কর্নওয়ালকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকে।
ফিল সিমন্স বলেন, রাকিম যে কোন উইকেটেই ভালো করবে। তার উচ্চতা তাকে বাড়তি সুবিধা দেয়। চট্টগ্রামেও সে ভালো করবে বলেই বিশ্বাস করি। প্রস্তুতি ম্যাচের ধারাবাহিকতা থাকলেই আমি সন্তুষ্ট। ব্যাটসম্যানরাও নিরাশ করবে না বলেই মনে হচ্ছে। ওয়ানডে আর টেস্টে স্কোয়াডটা কিন্তু অনেক আলাদা।
আগামী বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ।