অনলাইন ডেস্ক::
ফুলের রাজ্য নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন। পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিন শতাধিক ফুল চাষি। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কাঙ্ক্ষিত বেচাবিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা করছেন ফুল বাগান মালিকরা।
গত এক দশক ধরে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে। এখানকার সাবদি, দীঘলদি ও মাধবপাশাসহ দশটি গ্রামে প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন হতদরিদ্র কৃষকরা। বদলে গেছে এলাকার পরিবেশ। এখন ফুলে ফুলে ভরা ।
গাঁদা, চেরি, চন্দ্রমল্লিকা, জবা, সূর্যমুখী, গ্যালেরিয়া, ডালিয়া, স্টার, মাম, কাঠমালতি, বেলি, ঝাড়বাড়া ও জিপসিসহ অন্তত চল্লিশ প্রকারের দেশি বিদেশি ফুল চাষ হচ্ছে। রাজধানীর শাহবাগসহ এখানকার ফুল যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ তিনটি দিবস উপলক্ষে ফুলের চাহিদা মেটাতে গত চার পাঁচ মাস ধরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল চাষিরা।
তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন বন্ধ থাকায় এবং পাইকারি ক্রেতারা তুলনামূলকভাবে না আসায় এ বছর বেচাবিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না। ফলে বড় ধরনের আর্থিক লোকাসানের আশঙ্কা করছেন ফুল চাষি ও বাগান মালিকরা। তাদের দাবি, সরকারের সহযোগিতা পেলে সংকট কাটিয়ে উঠে এখানকার ফুল বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব।
হরেক রকমের ফুলের এই চারণভূমির সৌন্দর্য উপভোগ করতে গত কয়েক বছর ধরেই মানুষের বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে সাবদি দীঘলদি এলাকা। তাজা ফুলের সুবাস নিতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত দর্শনার্থী সপরিবারে ভিড় করেন এখানে। তাজা ফুল দিয়ে নিজেদের সাজানোসহ ফুল বাগানে ছবি তুলে স্মরণীয় করে রাখেন।
তবে নারায়ণগঞ্জের ফুল চাষকে আরো সমৃদ্ধ করতে বিদেশে রফতানির ব্যাপারে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
নারায়ণগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, কৃষকদের আমরা উদ্বুদ্ধ করছি যাতে ব্যাংক থেকে সরকারর যে প্রণোদনার আওতায় যে ঋণের সুবিধা দিচ্ছে সে ঋণের সুবিধাটা যেন পাই।
কৃষি বিভাগ জানায়, সাবদি এলাকায় গত মৌসুমে ৫০ হেক্টরে এবং চলতি মৌসুমে ৭০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে ফুল চাষ হয়েছে। আর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে পর্যন্ত ১৯ জনকে এক লাখ টাকা করে মোট ১৯ লাখ টাকা কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়েছে।