সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৩৭
শিরোনাম :

‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

অনলাইন ডেস্ক::

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৭ ‍জুলাই) সকালে গণভবনে দ্বিভাষিক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

বইটির ইংরেজি সংস্করণের নাম ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: আ স্পিরিটেড গ্রেসফুল জার্নি’। ১৬০ পৃষ্ঠার বইটির উপদেষ্টা সম্পাদক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বইটি সম্পাদনা করেছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
জয়ীতা প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করেছেন ইয়াসিন কবীর জয়। ই-বুক আকারেও (https://gorbitopothchola.net/) বইটি পড়া যাচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর বেশ কিছু নিবন্ধ, সংবাদচিত্র ও দুর্লভ আলোকচিত্র রয়েছে এই বইয়ে। বইটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্নের কথা বলা হয় তার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা করা হয়। গত এক যুগে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যে বিকাশ হয়েছে তার অন্যতম কারিগরও তিনিই।

নেতৃত্ব ও প্রভাবের কারণে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন জয়।
‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ স্মারকগ্রন্থের প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ পরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ। বইটির দাম তিন হাজার টাকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ পা রাখলেন ৫১ বছরে।
যুদ্ধের দামামার মাঝেই ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় দৌহিত্রের নাম রাখেন জয়।
‘জয়’ দিয়ে জীবনের শুরু হলেও শৈশবেই তাকে হতে হয় কঠিন নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি। ৭৫-এ ঘাতক দলের নির্মম বুলেটে নানা-নানীসহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় পুরো পরিবার। ৭৫ পরবর্তী লন্ডন হয়ে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন ভারতে। পড়াশোনা করেন বিশ্বের প্রসিদ্ধ সব বিদ্যাপীঠে। নিজেকে গড়ে তোলেন একজন প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা