বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৩০
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

সরবরাহকারীদের কাছে দেনা কত জানাল ইভ্যালি

অনলাইন ডেস্ক:

গ্রাহকদের পর এবার পণ্য সরবরাহকারীদের কাছে কত টাকা দেনা আছে তা জানিয়েছে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক হিসাবে দেখা যায়, পণ্য সরবরাহকারীরা ইভ্যালি কাছে থেকে প্রায় ২০৬ কোটি টাকা পাবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে ইভ্যালি জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের কাছে ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩ টাকা তাদের দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে।

ইভ্যালি এসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য কিনে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে। ইভ্যালি জানিয়েছে, যে কোনো ব্যবসায়ে ক্রেডিট সুবিধা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং তা যুগ যুগ ধরে প্রতিটি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান।

ইভ্যালির দাবি, ইভ্যালির সঙ্গে সব সরবরাহকারীর ক্রেডিট–সংক্রান্ত চুক্তি বিদ্যমান আছে। তাই যে অর্থ বর্তমানে দেনা হিসেবে আছে, তা অতি স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য পরিমাণ।

এর আগে ১৩ আগস্ট ইভ্যালিকে চিঠি দিয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের বিবরণ, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনার বিবরণ জানতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে সময় চেয়ে আবেদন করে ইভ্যালি। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২৬ আগস্ট দেওয়া হিসাবে ইভ্যালি জানিয়েছিল, গ্রাহকেরা তাদের কাছে ৩১১ কোটি টাকা পাবেন।

গ্রাহকের পাওনার সমপরিমাণ টাকা পণ্য কেনার জন্য অগ্রিম মূল্য বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগে ১৯ আগস্ট ইভ্যালি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের এই দায় ও সম্পদের তথ্য দেয়।

ওই সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ সময় তিনি বলেছিলেন, ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ইভ্যালি তাদের সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১০৫ কোটি।

কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখিয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেভাবেই তারা তাদের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েছে।জানা গেছে, ইভ্যালির ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার দেনার বিপরীতে ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অদৃশ্য সম্পদ দেখানো হয় ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং দৃশ্যমান সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা