মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৭
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বরিশালে, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

ডেক্স রিপোর্ট::
বরিশালে তিন দিনের টানা বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়েছে নদীর পানি। এতে নগরীর কয়েকটি প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় বরিশালে ৫২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা বর্তমান মৌসুমে একটানা বৃষ্টিপাতে রেকর্ড হয়েছে।

“রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ১২৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটাও এ মৌসুমে তিন দিনে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।”

মাহফুজুর রহমান বলেন, বৃষ্টি আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকবে।

নগরীর করিম কুটির এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বিজলী বার্তাকে জানান, বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা পর্যন্ত সড়কটি অন্তত দুই থেকে আড়াই ফুট পানির নিচে রয়েছে। এতে যানবাহন চালক ও পথচারীরা বিপাকে পড়েছে।

নগরীর সদর রোড ও আশপাশের আগরপুর রোড, প্যারারা রোড, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ও বগুড়া রোড পানিতে ডুবে রয়েছে।

নগরীর নিচু এলাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর চরের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের নেতা হারুন ভাণ্ডারী বলেন, চরের কীর্তনখোলা নদীর তীর অংশের কিছু এলাকায় পানি উঠেছে। তবে আগের মতো পানি উঠেনি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুর রহমান জানান, বর্তমানে কীর্তনখোলা নদীর পানি অনেক কম রয়েছে। বিপৎসীমার অনেক নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এ বৃষ্টি ধান আবাদের জন্য উপকারী। তবে এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি হলে ক্ষতি হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা