শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:২০
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বাণিজ্য মেলা’র নামে চলছে সর্বনাশা লটারি পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে, সচেতন মহলের ক্ষোপ….

বিশেষ প্রতিনিধি (মাসুদুর রহমান আসলাম)::

পিরোজপুরে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার নামে , চলছে লটারির নামক জুয়া। মোটরসাইকেলসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন পণ্য লটারিতে পুরস্কার ঘোষণা করায় প্রতিদিন শহর ছাড়াও গ্রাম গঞ্জে লটারির টিকেট বিক্রি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রকাশ্যে এসব অবৈধ লটারির টিকেট বিক্রি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে চেম্বার অব কমার্স , আয়োজনে মাসব্যাপী এই মেলা শুরু হয়।

মেলা উদ্বোধনের পরদিন থেকেই শুরু হয় সর্বনাশা লটারির টিকেট বিক্রি। মেলার গেট ছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেয়ার টেবিল বসিয়ে মেলার আয়োজক কমিটির লোকজন ২০ টাকা মূল্যের লটারির টিকেট বিক্রি করে আসছেন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে অটোরিকশা যোগে ঘুরে ঘুরে লটারির টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। সারাদিন টিকেট বিক্রি শেষে রাত সাড়ে ১০টায় মেলা চত্বরে লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন। যদিও মেলার অনুমতি কাগজে উল্লেখ আছে লটারি টিকিট মেলা প্রাঙ্গণের বাহিরে বিক্রি করতে পারিবে না তারপরও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে আসাদু কিছু পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারা জেলা জুড়ে সর্বনাশা লটারি টিকিট বিক্রি চলছে।

মোটরসাইকেল,ফ্রিজসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন টিকেট কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। রিকশা চালক ছাড়াও দিনমজুর শ্রেণির লোকজন যা আয় করছেন সেই টাকায় বাড়ির বাজার না করে লটারির টিকেট কিনে বাড়ি ফিরছেন। আবার অনেকেই মোটরসাইকেল পুরস্কার পাওয়ার আশায় প্রতিদিন অসংখ্য টিকেট কিনেও মোটরসাইকেল পাচ্ছেন না।

পিরোজপুর বারের সিনিয়র এক আইনজীবী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আকর্ষণীয় পুরস্কারের ফাঁদে ফেলে লটারির নামে জুয়া চলছে পিরোজপুরে। অথচ পিরোজপুর সুশীল সমাজ নিরব।

তিনি বলেন, চেম্বার অব কমার্স আয়োজনে চলা মেলায় লটারি জুয়া চালানোর দায় জেলা প্রশাসন এড়াতে পারেন না। এভাবে প্রতিদিন লটারি চলতে থাকলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়বে।

মেলার নামে লটারি প্রসঙ্গে পিরোজপুরের সাংবাদিকদের একাংশ বলেন, আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভন দিয়ে লটারির নামে জুয়া চলতে থাকলে সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যাবে সামাজিক অবক্ষয় হবে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন নিঃস্ব হয়ে পড়লে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ পুরো জেলায় বেড়ে যাবে।

এক্ষেত্রে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমানের ভাষ্য হচ্ছে, মেলায় লটারি চালানোর কোনো প্রকার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। শুধু মাত্র দর্শনার্থীদের ক্রয় করা প্রবেশ টিকিটে ড্র করার অনুমতি আছে। কিন্তু এর শর্ত উপেক্ষা করে কেউ যদি মাইকিং করে লটারির টিকিট বিক্রি তা হলে অবশ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুরুপ মন্তব্য করেছেন আয়োজক সংস্থা পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও পৌরসভা মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকও। তিনি বলেন, মেলা চালানোর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন যে সকল শর্তসমূহ দিয়েছে, তা না মানলেতো বিপদ। রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়ে এই জনপ্রতিনিধি বলেন, যেভাবে মাইকিং করে লটারির টিকি বিক্রি করছে, বলা হচ্ছে সেটা বেআইনি। খোঁজ-খবর নিয়ে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা