মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কিশোরী মেয়েকে দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর নোংরা খেলায় মেতে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে পিতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের রত্তন ফকিরের সাথে প্রতিবেশি আজাহার বেপারীর পুত্র মাসুমের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাসুম তার লোকজন নিয়ে একাধীক বার অসহায় রত্তন ফকিরের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করেছে। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন পূর্বে মাসুম প্রতিপক্ষের রত্তন ফকিরকে ফাসাতে তার কিশোরী কন্যা মাকসুদা (১১) কে দিয়ে রত্তন ফকিরের ছেলে ২ সন্তানের জনক শাহাদাতকে জড়িয়ে বিভিন্ন খারাপ কথা বলতে শুরু করেন। তিনি এলাকার মানুষের কাছে শাহাদাৎ তার মেয়েকে নানা সময় কু-প্রস্তাব দেয় বলে জানালে, স্থানীয় সচেতন মহল উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়। উল্লেখ্য শালীশ মিমাংশায় প্রতিবেশি আজাহার খন্দকারের স্ত্রী ফুলভানুকে স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করে স্বাক্ষ নেয়া হলেও এখন তিনি বলছেন উল্টোকথা। মিমাংশার পরের দিন মাসুম একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পরে শাহাদাৎকে আসামী করে তার মেয়েকে দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভীত্তিতে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় একটি নিরাপরাদ পরিবারকে ধ্বংশ করার জন্য মাসুমের এই মিথ্যা, সাজানো ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তারা প্রশাসনের প্রতি সঠিত তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, মাসুম স্থানীয় ভাবে একজন ঘটক হলেও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর একাধীক অভিযোগ রয়েছে এবং টাকার জন্য মাসুম করতে পারেনা এমন কোন কাজ নেই। স্থানীয়রা আরও জানান, কয়েকদিন পূর্বে শাহাদাতের ৫বছরের একটি পুত্র সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি পা পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টাকা চেয়ে তার চিকিৎসা করাচ্ছেন, এর মধ্যে কিভাবে সে এরকম কাজ করতে পারে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় রত্তন ফকিরের পরিবার ও স্থানীয় সচেতন মহল।