মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:১১
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

খালেদার মুক্তি আন্দোলন গড়ে ওঠেনি যে কারণে

অনলাইন ডেস্ক::

জনগণ দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখান করেছে বলেই দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে মনে করছেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। তবে এর জন্য রাজপথে আন্দোলনের মতো কঠিন সংগ্রামে না যাওয়া দলটির সাংগঠনিক অদক্ষতাকে দায়ী করছেন জাতীয়তাবাদী ঘরোয়া বুদ্ধিজীবীরা।

দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার প্রথম বছর দলের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার, তার পরের বছর ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ২০২১ সালে এসে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ করে দলটি। এমন সাদামাটা কর্মসূচির মধ্যেই বিগত ৩ বছর সীমাবদ্ধ ছিল দলীয় প্রধানের মুক্তির আন্দোলন। ছিল না কোনো কঠোর কর্মসূচি।

এমনকি দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস জেল হাজতে থাকার পর নির্বাহী আদেশে গত মার্চ মাসে খালেদা জিয়ার কারাবাসের সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার। এরপর ২৭ আগস্ট এ মেয়াদ আরও ছয়মাসের জন্য বাড়ায় সরকার। এক্ষেত্রে ছিল না আন্দোলন কিংবা বিএনপি’র কোনো চাপ। বরং মানবিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ বিবেচনায় নিয়ে সরকার তাকে এ মুক্তি দেয়।

এক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের প্রতি জনগণের অনাস্থার কথা বললেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘জনগণ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে সাড়া দেয়নি। জনগণ দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত একজনের মুক্তির জন্য কেন আন্দোলনে আসবে। জনগণ তাদেরকে বিশ্বাস করে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, ‘কেন বিএনপির রজনীতি বিচ্ছিন্ন হয় পড়ল, কী কী ফ্যাক্টর তার জন্য দায়ী? সেটা মনে হয় বিএনপি নেতাদের ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করা উচিৎ।’

বিরোধী দল হিসেবে সাংগঠনিক অদক্ষতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেন বিএনপি মতবাদের ধারকরা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা আন্দোলন করতে চায় নাই বলেই এতদিন আন্দোলন করতে পারে নাই।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ বলেন, ‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া অর্থাৎ কঠোর আন্দোলন ছাড়া আমাদের দেশের রাজনৈতিক কালচারে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।’

তবে জনগণকে সম্পৃক্ত করা ছাড়া রাজপথে কোনো আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে অভিমত তাদের।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা