মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:৩০
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বরিশাল নদী বন্দরে চলছে ধোয়া মোছার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:;

টানা দেড়মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার থেকে আবারও ঢাকা-বরিশাল নৌরুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে।
রোববার  সরকারি ঘোষণার পরপরই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা যাত্রীবাহি লঞ্চগুলো ধোয়া মোছার কাজ শুরু হয়েছে। ছুটিতে থাকা কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলেছেন মালিকপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ ৪৬ দিন পর লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের জোয়ার বইছে বরিশাল নদী বন্দরের নৌযান শ্রমিকদের মাঝে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক এবং সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। সূত্রমতে, করোনা সংক্রমণরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকারি নির্দেশে সারাদেশে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরেরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে গত দেড় মাস ধরে।
ইতোমধ্যে লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদী বন্দরে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন। লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকেও গত শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানানো হয়। মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এক ঘোষণায় সোমবার থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহি নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনমতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে লঞ্চ চলাচল করে তারা সেই ব্যবস্থাই করবেন। সচেতন নাগরিক কমিটির জেলা সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, একটানা দেড় মাস পর যাত্রীবাহি লঞ্চ চালুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। তবে মালিক ও শ্রমিক এবং বিআইডব্লিউটিএ’র সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ব্যর্থতা হলে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। সূত্রমতে, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহি সাতশ’ নৌযান রয়েছে। এতে কাজ করছেন কমপক্ষে ২০ হাজার নৌযান শ্রমিক।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা