রেদোয়ান আহম্মেদঃ
মুলাদীতে কচুরিপানা দখল করে নিয়েছে জয়ন্তী নদীর একাংশ। মুলাদী বন্দর রক্ষা বাঁধ থেকে পশ্চিমে ট্রলারঘাট পর্যন্ত কচুরিপানা থাকায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। খাদ্য গুদামের মালপত্র তোলার জন্য কার্গো ঘাটটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দিন দিন নাব্যতা সংকট বেড়ে যাওয়ায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এ সুযোগে অনেক দোকান মালিক নদী দখল করে ঘর বড় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বেচ্ছাশ্রমে দুই বার কচুরিপানা অপসারণ করা হলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। নদী রক্ষার কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় কচুরিপানা অপসারণ হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, নয়াভাঙ্গনী নদীর ভাঙন থেকে মুলাদী বন্দর রক্ষার জন্য ১৯৯২ সালে শাখা নদী জয়ন্তীতে বাঁধ দেওয়া হয়। এতে নদী ভাঙন রোধ হয় ও বন্দর রক্ষা পায়। এরপর থেকে একটি মহল বাঁধ দখল করে নেয় ও পাশাপাশি জয়ন্তী নদী দখলের কাজ চলতে থাকে। মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মাদ হোসাইনী জানান, বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।