অনলাইন ডেস্ক::
তিন দিনের ব্যবধানে নওগাঁর হাটে কমেছে পাটের দাম। বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকায়। এর পেছনে ব্যাপারীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ পাটচাষিদের। এতে কম দামেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ভোর থেকেই নওগাঁর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাট নিয়ে সতিহাটে বসেন চাষিরা। এবার পাটের সরবরাহ ভালো। পাওয়া যাচ্ছে ভেলি তোষা, বঙ্গবীর, চাকাসহ অন্তত ৬ জাতের পাট। কিন্তু বেলা গড়ালেও দেখা নেই দূরের ব্যাপারীদের। বাধ্য হয়েই তাই কম দামে বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে।
গত তিন দিনে ব্যাপারীদের সিন্ডিকেটে দাম পড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাটচাষিদের। বর্তমানে হাটে পাট বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ৮শ’ টাকায়। তিন দিনে মণপ্রতি পাটের দাম কমেছে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। পাটের বাজার বাড়েনি এবং মিলার পার্টি পাট কেনেনি বলে অভিযোগ করে চাষিরা।
পাটচাষি মোতালেব মিঞা সময় সংবাদকে বলেন, ‘পাটের দাম খুব খারাপ যাচ্ছে। ভালো পাটেরও দাম পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যম মানের পাট তো বিক্রিই হচ্ছে না।’
আরেকজন পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাটের যে বাজার যাচ্ছে তাতে কৃষকদের পোষাবে না। চার মণ পাট বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৪ শ’ টাকায়। এভাবে যদি দাম পড়ে যায় তো পাটচাষিরা তাদের ব্যবসা পরিবর্তনেরও চিন্তাভাবনা করছে।
এদিকে, পাটের নায্য দাম নিশ্চিত করতে না পারলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুল ওয়াদুদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘গত বছর কৃষকরা পাট বিক্রি করছে ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। এ বছর এসে দাম অর্ধেকেরও বেশি নেমে গেছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫৮ হাজার মেট্রিক টন।