ইউপি চেয়ারম্যান ডা: হরেন রায় বলেন- গত ৬ মাসের মধ্যে তার নামে কোন চাল উত্তোলন হয়নি সে কিভাবে কাবিখার চাল কালো বাজারে বিক্রি করবেন, এক মাস আগের ঘটনা কেন এক মাস পরে প্রকাশ করলো এতোদিন কি তাহলে ওরা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করেছে? একটি মহল বার বার ইউপিদের নিয়ে একই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সামাজিক ভাবে তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করছে এবং মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় দাবী করেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারকারী কথিত ওই সংবাদকর্মী নামধারীদের ও বানোয়াট অভিযোগ দেওয়ার কারনে মিথ্যাচারের বিষয়গুলো তদন্ত করে সঠিক বিচার ও চলমান তদন্ত নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
ইউপি সদস্য ৬ নং ওয়ার্ডের ফারুক হোসেন সহ অনেকেই বলেন- চাল কম দেয়া বা আত্নসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বানোয়াট। সংবাদমাধ্যম যে তথ্য দিয়ে যোগাযোগমাধ্যম মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। হরেন রায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না। তাকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা দ্রুত বন্ধ করা হোক। এবং দ্রুত তদন্ত করে সঠিক তথ্য উদঘাটন করা হোক।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি মৎস কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইনকে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। তিনি এখনো প্রতিবেদন জমা দেন নি।
এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে থাকা মৎস কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। কোন প্রকার সত্যতার বিষয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আর তদন্ত চলাকালে তদন্তের স্বার্থে এখনি কিছু বলা যাবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সকল দায়িত্ব পালন করলেও ত্রাণসহ হতদরিদ্রে সুবিধাভোগী কার্যক্রমের কোন দায়িত্ব আমি পালন করি না। এসব কার্যক্রমের তালিকা ও বিতরণের জন্য ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে। তবুও আমাকে জড়িয়ে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসকল ভিত্তিহীন সংবাদ সকলের পরিহার করা উচিত। চলমান তদন্তকে নিয়ে মনগড়া সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।