বিজলী ডেক্স:
করোনা যুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কঠোর নজরদারির ফলে একইসঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। বুধবার নতুন করে পুলিশের আরও ১৬১ পুলিশ সদস্য করোনামুক্ত হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সর্বমোট ১ হাজার ২৮০ জন। সর্বশেষ সুস্থ হওয়া ১৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সময় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০৫৩ জনে। এখন পর্যন্ত ১৪ পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরন করেছেন। পুলিশের বিভিন্ন দফতর থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, পুলিশ বাহিনীতে এখন পর্যন্ত ১৪ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ রোববার সকালে মারা গেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) রাজু আহমেদ (৪০)। একই দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নেকবার হোসেন (৪২) নামের আরেক পুলিশ কনস্টেবল । তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের হালিশহর থানায় কর্মরত ছিলেন। রোববার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পুলিশ সদরদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আটজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৯ জন, সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৯৭ জন, উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার ৩৮৬ জন, সহকারী উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার ৪৮১ জন রয়েছেন। বাকিরা সবাই নায়েক ও কনস্টেবল। অবশ্য যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮১৩পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানিয়েছে সদরদফতর।
পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রুষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশ আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সাথে বাড়ছে সুস্থতার হার।