আরিফুল ইসলাম নাদিম :
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নে আন্ধার মানিক নদী থেকে শিকারিপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ২ কিলোমিটারের বেশী দীর্ঘ খালটি কয়েক বছর যাবৎ বাধ দিয়ে মাছের ঘের করায় কয়েক হাজার জমিতে কোন ফসলে সেচ করা যাচ্ছেনা। খালটি পূনঃউদ্বার করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের মাধ্যমে যাতে কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে পারে দাবী জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আন্দার মানিক নদী থেকে পশ্চিম পাড়ে শিকারিপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে খালটিতে ছোট ছোট বাধ দিয়ে, টিনসেট তৈরী করে চিংড়ী মাছ চাষ করা হচ্ছে। চিংড়ী মাছ চাষের জন্য লবন পানি তোলায় ধান সহ কোন রবি শস্য কয়েক বছর যাবৎ উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকরা। স্হানীয় কৃষক আল আমিন,নুরুজ্জামান সর্দার,সিরাজ মীর,শাহআলম, ইউনুস খান সহ কৃষকরা অভিযোগ করেন,সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন তার সহযোগী মোস্তফা কামাল,ফারুক খান এই খালটি জোড় পূর্বক দখল করে রাখায়, তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন তারা খালটির বাধ খুলে দিয়ে জোয়ার – ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ রাখার। জানাগেছে,নিয়মনীতি ভঙ্গ করে,সরকারী খাস খালটি ১৯৯৬ সালে মৎস্য বিভাগ এফ সিডি আই,প্রকল্পের আওতায় মাছ চাষের জন্য লিজ দেয়া হয়। লিজের শর্ত ভঙ্গ করে লবন পানি তোলার কারনে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন,কৃষি কাজে জমিতে সেচের কোন সমস্যা নেই।স্হানীয় কোন্দলের কারনে একটি মহল অপ প্রচার করছে বলে তিনি দাবী করেন। কেন কেন খালে একাধিক বাধ দেয়া হয়েছে খালে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেননী। লিজের মেয়াদ শেষ হবার পরও কেন খাল দখল রেখেছেন এ প্রশ্নের উত্তর অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন দিতে পারেননী।