মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ভূইয়া মডেল ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ডাক্তারের পেসক্রিপশন উপক্ষো করে রোগীকে অতিরিক্ত ঔষধ ধরিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, গত ২৪অক্টোবর মুলাদী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজী মোঃ নুরুল ইসলামের ছোট ভাই কাজী গোলাম রসুলের স্ত্রী হালিমা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর ভূইয়া মডেল ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টারে গিয়ে ডাক্তার সুভলকে দেখান। ডাক্তার সুভল রোগী দেখে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করিয়ে ৭দিনে ১টি করে মোট ৭টি ইনজেকশন লিখে দেন। কিন্তু ক্লিনিকের ফার্মেসিতে গেলে সেখানকার সেলসম্যান সায়েম ৭টি ইনজেকশনের জায়গায় ১৪টি ইনজেকশন দিয়ে দৈনিক ২টি করে ইনজেকশন নেয়ার কথা বলেন। রোগী অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায় সেলসম্যানের কথা শুনে ১৪টি ইনজেকশন কিনে বাড়ী এসে পরের দিন সকাল ও বিকালে দুইটি ইনজেকশন দেয়ার পরে রোগী অসুস্থ হয়ে পরলে ২৫অক্টোবর রাত ৯টায় তাকে মুলাদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে কর্তব্যরত ডাক্তার তার চিকিৎসা করে তাকে কিছুটা সুস্থ করার পরে বিষয়টি জানান। পেসক্রিপেশনে টাইফেড রোগীকে ডাক্তার সুভল প্রতিদিন ১টি ইনজেশন পুষ করার জন্য লিখে দিয়ে ভূইয়া মডেল ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারের সেলসম্যান রোগীকে ২টি করে ইনজেশন পুষ করতে বলেন। অতিরিক্ত ঔষধ ধরিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভুইয়া ডায়াগনিষ্ট্রিক সেন্টার। এব্যপারে ২৯অক্টোবর ভূইয়া ডায়গনষ্ট্রিক সেন্টারে যোগাযোগ করলে তারা ভুল করে ৭টির জায়গায় ১৪টি ইনজেকশন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রাদাস বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।