রবিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:০৫
শিরোনাম :
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৯ দিন মাঠে থাকবে ; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) দায়িত্বে জাহাঙ্গীর আলম সুদের টাকা চাইতে গিয়ে পটুয়াখালীতে যুবক খুন শনিবার সকাল ৬টার দিকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসে আগুন শনিবার সকালে ঢাকায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপির নেতারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন আহমদ বন বিভাগের ফরেস্টার সুলতানুল আলম চৌধুরী কারাগারে দেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা

আসন্ন দুর্গাপূজা ১১ নির্দেশনায় মধ্যদিয়ে পালিত হবে!

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সমবেত সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এজন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে দুর্গাপূজায় শোভাযাত্রা ও প্রসাদ বিতরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনসাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাইডলাইন মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গাইডলাইনে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-

১. মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

২. পূজামণ্ডপে আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমা গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।

৩. পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পূজামণ্ডপে আগত সবার মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৫. মন্দিরের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করবেন না।

৭. হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচি নাচ এবং শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. ধর্মীয় উপাচার ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।

১০. পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।

১১. স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা