মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৫৭
শিরোনাম :
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত মেহেরপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গাংনী বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালানায়- কশাইকে আর্থিক জরিমান তালতলীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিয়ে করলেন ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি, আহত ২৫

আসন্ন দুর্গাপূজা ১১ নির্দেশনায় মধ্যদিয়ে পালিত হবে!

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সমবেত সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এজন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে দুর্গাপূজায় শোভাযাত্রা ও প্রসাদ বিতরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনসাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাইডলাইন মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গাইডলাইনে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-

১. মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

২. পূজামণ্ডপে আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমা গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।

৩. পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পূজামণ্ডপে আগত সবার মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৫. মন্দিরের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করবেন না।

৭. হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচি নাচ এবং শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. ধর্মীয় উপাচার ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।

১০. পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।

১১. স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা