শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:০৫
শিরোনাম :
বছরে পর বছর ধরে নষ্ট পানির পাম্পের ভাউচার বিল হাতিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলররা ভুয়া আইডি কার্ড ও জালজালিয়াতি করে সরকারি চাকরিতে বহাল তবিয়তে শওকত ! সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মাদকের ব্যাপকতা রোধ করা সম্ভব ; খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান শেখ হাসিনাসহ দায়ের হওয়া মামালায় আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে চাঁদাবাজি মামলায় চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বাংলাদেশের ; পররাষ্ট্র সচিব বিদেশি পিস্তলসহ পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা আটক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য; আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত; আহত পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে ২ যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

স্কোর থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে না বহু শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক::

দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কয়েকটি ধাপে এ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে এইচএসসি এবং সমমানের মূল্যায়নে ন্যূনতম স্কোর থাকা সত্ত্বেও এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নাও পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির একটি সভা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২০ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে সেহেতু তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম যে স্কোর চাওয়া হতো, সেটা পেলেই পরীক্ষা দেওয়া যেত। কিন্তু এবার সেই সুযোগ নাও থাকতে পারে। কারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের আগে পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্টসংখ্যক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে শুধু যোগ্যতা থাকলেই আর আবেদন করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাচ্ছে না। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য হলেই কেবল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে এবার। আর এসব কাজের জন্য একটি একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের এই ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই-বাছাইয়ের পর পরীক্ষার জন্য মনোনীত হলে প্রার্থীর মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে।

পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র থাকবে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। এতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ২৩ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান জানান, সবাই তাদের পছন্দমতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষায় সবার ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

তিনি জানান বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি, কারিগরি, জাতীয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৭ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া), ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬.৫ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টন হবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ২০ নম্বর, রসায়নে ২০, জীববিজ্ঞান, গণিত এবং আইসিটি মিলে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। জীববিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিতের মধ্যে যে কোনো দুটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। আর বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

বাণিজ্য বিভাগ থেকে হিসাববিজ্ঞানে ২৫ নম্বর, বিজনেস অর্গানাইজেশন ও ম্যানেজমেন্টে ২৫, আইসিটিতে ২৫, বাংলায় ১৩ এবং ইংরেজি বিষয়ে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

মানবিক বিভাগ থেকে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

যে ২০টি বিশবিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে সেগুলো হলো-

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা