বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:১২
শিরোনাম :
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ মিছিল। নলছিটিতে মা ও ছেলের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ জুলাই গন অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত বেলালকে সরকারি সহায়তার চেক প্রদান। ভাবির সঙ্গে পরকিয়া, যৌতুকের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত

করোনার মধ্যে স্কুল খোলা নিয়ে জরিপ

অনলাইন ডেস্ক::

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় শতভাগ অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান। তারা বলছেন, স্কুল খুলে দিলেই তারা সন্তানদের ক্লাস করতে পাঠাবেন। কারণ, সন্তানরা নিয়মিত বাইরে যাচ্ছে। আবার ক্লাসের ক্ষতি পোষাতে কোচিং সেন্টারে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে।

গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার (পিপিআরসি) এবং বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিজিআইডি) পরিচালিক এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

২০২০ সালের এপ্রিল এবং চলতি বছরের মার্চে ছয় হাজারের অধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ সমীক্ষা করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিজিআইডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

সোমবার (১০ মে) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা ওই গবেষণার প্রতিবেদনে, প্রাথমিকের ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এমন মতামত দিয়েছেন।

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে সন্তানদের পড়াশোনায় অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষায় আগ্রহ কমছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার ক্ষতি কিছুটা কমাতে কোচিং সেন্টারের ওপর নির্ভর হচ্ছেন। এতে শিক্ষার খরচ ১১ থেকে ১৩ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। যা তারা বাড়াতে চান না।

আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ‘অটো পাস’ এর কারণে ভবিষ্যতে চাকরি জীবনে গিয়ে সন্তানরা কোনো সমস্যায় পড়েন কিনা, তা নিয়েও তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন। সবমিলে তারা আর অপেক্ষা করতে চান না।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলে ভবিষ্যত জীবনে সন্তান সমস্যায় পড়বে, এমন আশঙ্কা থেকে অতি দরিদ্র ৫৯ শতাংশ বাবা-মা তাদের ছেলেমেয়ের কোচিং সেন্টারে পাঠিয়েছেন। আবার স্কুল খোলা থাকার সময়ে কওমি মাদ্রাসা খোলা থাকায় এখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেড়েছে।

এ অবস্থায় আগামী বাজেটে প্রাথমিকের শিক্ষার্থী প্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে মোট ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে পিপিআরসি এবং বিআইজিডি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা