মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৩৬
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

বাকেরগঞ্জে জাল দলিল তৈরি করে কবরস্থানের জমি দখল করার চেষ্টা তত:পর আদালতে মামলা

 নিজস্ব প্রতিবেদক::

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং- রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থল বিরাঙ্গল গ্রামের জাল দলিল তৈরি করে কবরস্থানের জমি দখল করার চেষ্টা অতঃপর আদালতে মামলা। গ্রামের মৃত: হাশেম ফকিরের ছেলে মাও: হাবিবুর রহমান ও ইসুফ আলী হাওলাদার এবং জামাল হাওলাদার ও মৃত: রাজেন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোখলেছুর রহমান ওরফে সাহেব আলী গং মিলে বাড়িতে বসে জাল দলিল তৈরি করে অপরের জমি দখল করা পাঁয়তারা।গ্রামের মৃত হাশেম ফকিরের ছেলে মাওলানা হাবিবুর রহমান ও ইসুব আলী হাওলাদার এবং জামাল হাওলাদার ও মৃত রাজেন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোখলেছুর রহমান ওরফে সাহেব আলী গং মিলে বাড়িতে বসে জাল দলিল তৈরি করে অপরের জমি দখল করা পাঁয়তারা। সূত্রে জানা যায়, ১৬/১০/১৯৫৭ইং-সালে সাব কাবলা দলিল মূলে হিন্দুদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন মৃত: রাজেন উদ্দিন মৃত: হাশেম ফকির মোখলেছুর রহমান ওরফে সাহেব আলী, যাহার দলিল নং-৫৯৬৪/ ১৯৫৭ইং বিরাঙ্গল মৌজা জেল নং-১ এস এ খতিয়ান ২৮১/২৬৩/৫৩৪ এস এ খতিয়ান দাগ নং- ২১৯৭/২১৯৮/২১৯৯/২৩৫/২১৬৯/২২৩৯/২১৯৬ মোট জমি পরিমান ২ একর ৪ শতাংশ ।

জমি এস এ খতিয়ান মূলে মালিক গোপাল চন্দ্র সাহা, রাজকুমার সাহা, পিতা অমর চন্দ্র সাহা, ক্ষিরোদলাল সাহা, পিতা হিরালাল সাহা , মাখন লাল পিতা প্রহলাদচন্দ্র সাহা কিন্তু ওই জমি ছিল দুই ভাগে ভাগ যেমন ১/ গোপাল চন্দ্র সাহা, ২/ রাজকুমার ও ৩/ ক্ষিরোদলাল সাহা এই তিন জনের জমি হলো ১ একর ২.৫০ শতাংশ তবে বাকি অংশ হলো মাখন লাল ১ একর ১ .৫০ শতাংশবে কিন্তু মৃত: রাজেন উদ্দিন হাওলাদারেবে কিন্তু গং দলিল গ্রহীতা। দাতার নাম মাখন লালকে মৃত বলে তার স্ত্রীর জ্ঞানদা সুন্দরীর কাছ থেকে দলিল সাব-রেজিস্ট্রি করেছেন। তবে মাখন লাল জীবিত ছিলেন, এবং তার ছেলে সুধীর চন্দ্র সাহা ছিলেন, দলিল গ্রহীতাগণ ওই সময় ভুল বুঝিয়া জমির দলিল রেজিস্ট্রি করছেন। কিন্তু মামলা নং-১/ ১৯৯৮ইং- ৩য় যুগ্ম জজ আদালত ওই জমির দাতা জীবিত ছিলেন জীবিত থাকাকালীন মহিলারা সম্পত্তি পায় না হিন্দুদের ভিতরে এবং জমি দাঁতা ছেলে সুধীর চন্দ্র সাহা ছিলেন , এই কথা প্রমাণ হওয়ায় ওই দলিল জাল বলে আদালতে জব্দ করেছেন। আজও পর্যন্ত ওই জাল দলিল দিয়ে এখনো কোন রেকর্ড করাতে পারে নাই এবং আদালতে জব্দ তালিকা ওই দলিল শনাক্ত রয়েছেন যাহার দলিল নং-৫৯৬৪/ ১৬/১০/ ১৯৫৭ইং আদালত জব্দ বলেছেন ৯ জুন ২০০২ ইং – তারিখে।

পরবর্তীতে ওই জমির গ্রহীতা মৃত: হাশেম ফকিরের ওয়ারিশগণ তার ছেলে মাও: হাবিবুর রহমান ও ইসুফ আলী হাওলাদার এবং জামাল মিলে ঘরে বসে একটি জাল দলিল তৈরি করেন একি জমির উপর যাহার দলিল নং- ২৫১০- ২৬/০৭/৫৭ইং বিরাঙ্গল মৌজা জেল নং-১ এস এ খতিয়ান ২৮১/২৬৩/৫৩৪ এস এ খতিয়ান দাগ নং- ২১৯৭/২১৯৮/২১৯৯/২৩৫/২১৬৯/২২৩৯/২১৯৬ মোট জমি পরিমান ১একর ৫৮ শতাংশ হাশেম ফকিরগণ ওয়ারিশ বাদ দিয়ে এই ভুয়া দলিল কি সৃষ্টি করেন তবে মৃত আজিজ খান বাদী হয়ে একটি জাল মামলা করেন ,হাশেম ফকিরের ওয়ারিশগণ তার ছেলে মাও: হাবিবুর রহমান ও ইসুফ আলী হাওলাদার এবং জামাল এদের বিরুদ্ধে যাহার মামলা নং- ১৮/৮৫ – ২৫/ ৪/ ২০০৫/৬ইং তারিখ ওই মামলায় জাল দলিল প্রমাণ হয়েছে এবং এই দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বালামে নাই এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘরে বসে ওয়ারিশ বাদ দিয়ে দলিল তৈরি করেন তবে একই জায়গায় দুইটি  দলিল তৈরি করা হয়েছে। গ্রহীতাগণ এভাবে ঘরে বসে জাল দলিল তৈরি করে অপরের জমি দখল করে নিয়েছেন এবং চেষ্টা চালাচ্ছেন এর হাত থেকে রেহাই পাননি এতিম অসহায় সন্তানেরাও এবং ওই মামলার বাদী মারা যাওয়ার পর মামলা খারিজ হয়ে গেছেন। এবং ১ নং আসামী মারা গেছেন বাকি আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন । কিন্তু এখনো দুইটি জাল দলিল দিয়ে অপরের জমি দখল করা চেষ্টা চালাচ্ছেন এদের অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অদ্র এলাকাবাসী এদের জ্বালায় কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারে না । এই জাল-জালিয়াতির চক্র কখনো ডাকাতি কখনো চুরি কখনো খুন কখনো ছিনতাই করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়া নিয়েছেন টাকার গরমে জালিয়াতি করা তাদের নেশা পেশা বলে দাঁড়িয়েছেন । অপরদিকে এরা সমাজে কেউ শিক্ষক কেউ মাওলানা এবং জামাতের বিএনপি লিডার এবং জামাতের রোপন দাতা রাতের আধারে জামাত-শিবিরের ট্রেনিং দেয় । ঘরে বসে জাল দলিল সৃষ্টি করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও তার চাচা মোখলেছুর রহমান ওরফে সাহেব আলী তার বাকি ভাইয়েরা মিলে এভাবে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে হিন্দুদের জমি দীর্ঘ প্রায় দেড়শত বছর ধরে আব্দুল কাদের সিকদারের পূর্বপুরুষ ভোগ দখল করে আছেন ১৫ শতাংশ জমি এবং একই জায়গায় গাছপালা কৃষি এবং ৫ টি পুরাতন – নতুন কবরস্থান রয়েছেন ওই  জমিতে থাকা ১৮ ই মে ২০২১ইং তারিখ কবরস্থানের মাটি কাটতে গেলে কবরস্থান বরাট করতে গেলে জাল দলিল দিয়ে বাধা প্রদান করেন জাল দলিলে চক্র এবং বলেন যদি জমি মাটিকাটা খুন করে ফেলবে এই বলে হুমকি দেয়।
অন্যদিকে ওই জমি ডিগরী মূলে মালিক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে তার ওয়ারিশগণ ওই জমি দখলিও মালিক আব্দুল কাদের শিকদারকে সাক্ষী করে বরিশাল বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করে ১ জুন ২০২১ইং ১৪৪/১৪৫ ধারামতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং-১০৭/২০২১ইং। এই মামলায় বিবাদী হলো জাল দলিলের চক্র মৃত: হাশেম ফকিরের ওয়ারিশগণ তার ছেলে মাও: হাবিবুর রহমান ও ইসুফ আলী হাওলাদার এবং জামাল ও তার চাচা মোখলেছুর রহমান ওরফে সাহেব আলী এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছ। এবং ওই মামলা বিজ্ঞ আদালত বাকেরগঞ্জ থানাকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং ভূমি কর্মকর্তা এসিলেন্ট বরাবর তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করে জাল দলিল বলে জমি দখল করার চেষ্টা খুন গুম করার হুমকি এবং টাকার বিনিময় মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ার পাঁয়তারা সরেজমিন তদন্ত না করে রিপোর্ট দিবে বলে হুমকি দিয়েছেন বিবাদীরা এদের অত্যাচারের অতিষ্ঠ গ্রামবাসী জাল-জালিয়াতির চক্র বিএনপি জামায়াতের নেতা এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না যদি কেউ মুখ খুলে টাকার বিনিময় মিথ্যা মামলা হামলা শিকার হতে হয় এভাবে একাধিক ভুক্তভোগী রয়েছে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়।

দিনের পর দিন জলচক্র লোকজন জাল দলিল দিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা চালায় অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এদের বিচার গ্রামবাসী প্রশাসনের নিকট চেয়েছেন অপরদিকে এদের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি কামনা করেছেন গ্রামবাসীরা। তারা বলেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের এলাকায় জামাত-বিএনপি নেতাদের অত্যাচারে শান্তিতে বসবাস করতে পারি  না । তাদের অবৈধ টাকার গরমে পাহাড় গড়ে তুলছেন থানা পুলিশ হাতের মুঠোয় নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন এদের বিচার চাই , এদের বিচার চাই, এদের বিচার চাই , এরা জলচক্র, জালিয়াতি চক্র, এদের বিচার চাই এই শ্লোগান দিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ওই জমির যারা ডিগরী মুখে মালিক তারারাও জালিয়াতি মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে তারা আরো বলেন এই জাল-জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও থানায় একাধিক জিডি রয়েছেন তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয় নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং আদালতে মামলা হয়েছে তবে তদন্তাধীন বর্তমানে কোন অভিযোগ পাইনি তারপরও দেখছি এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

ধারাবাহিক চলবে  চোখ রাখুন…………….

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা