বিজলী ডেক্স::
বরিশালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলাকালে সেই অভিযানের ছবি তোলার সময় এক ফটো সাংবাদিককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ওই সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা। তবে ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছে, কোনো হেনস্থা তো নয়ই বরং আমাদের সাথে পর্যায়ক্রমে খারাপ ব্যবহার করেছেন ওই সাংবাদিক। সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরীর সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মুখে এই ঘটনা ঘটে। হেনস্থার শিকার দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর শুনে সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মুখে যাই। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা অভিযান পরিচালনাকালে আমি ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা বের করার সাথে সাথেই আমি এখানে কি করছি প্রশ্ন করেন রয়া ত্রিপুরা। এরপর তাকে আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দেই এবং দৈনিক যুগান্তরে কাজ করি বলে জানাই। সে আমার পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তাও দেখাই। পাশে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর এক সদস্য আমাকে আটকও করতে চায়। পরে আমার ভিজিটিং কার্ড চায় রয়া ত্রিপুরা। তাকে সেটা দেয়ার পর আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা বলেন, নগরীর সদর রোডে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মুখে একটি অপচিক্যাল দোকান খোলা দেখতে পেয়ে সেখানে যাই। এসময় আবার তিন যুবক মোটরসাইকেলে করে কোথাও যাওয়ার সময় তাদের সিগন্যাল দিয়ে দাড়া করানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালত চললে এমনিতেই তো মানুষের অনেক ভীর হয়ে যায়, তাই সেখান থেকে লোকজনদের সরে যেতে বলা হয়। এসময় ওই সাংবাদিকও দাড়িয়ে ছিলেন। আমরা তো আর জানতাম না যে উনি সাংবাদিক। উনি যে ছবি তুলতে চান, রিপোর্ট করতে চান সেটা কিন্তু আমাদেরকে বলেনি। আমার সাথে প্রথম থেকেই উচ্চ গলায় কথা বলছিলেন। এসময় আমি ওনাকে বলেছি আপনি কোর্টের সাথে এমনভাবে কথা বলতে পারেনা। আমার সাথে অতটুকু কথাই হয়েছে। তাকে কেউ আটক করতে বলেনি, গাড়িতে ওঠার কথাও বলেনি। উনি বরাবরই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। কোনো মানুষকে অসম্মান করে আমরা কোর্ট পরিচালনা করিনা। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা বলেন, ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বরিশালের মিডিয়াঙ্গন সহ সকলের কাছে পরিচিত মুখ। সিনিয়র এই সাংবাদিক মাঠে ঘুরে কাজ করছেন এখনও। তার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা সমীচিন হয়নি বলে মনে করি।