শনিবার, ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:২৯
শিরোনাম :
নলছিটিতে মা ও ছেলের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ জুলাই গন অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত বেলালকে সরকারি সহায়তার চেক প্রদান। ভাবির সঙ্গে পরকিয়া, যৌতুকের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বরিশালে চকবাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়, মনেহয় করোনা তাদের কাছে কিছুই না!

সৈয়দ জানে আলম: বরিশালে প্রাণঘাতী কোরানা ভাইরাসকে উপেক্ষা দীর্ঘ দেড় মাস পর মহিলা ক্রেতারা গৃহবন্ধি থাকার পর শ্বাস ছেড়ে ঘড় থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরে মহা খুঁশি। মহা আনন্দে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা চক বাজারে শপিংমল ও ফুটপাতের দোকান গুলোতে কেনাকাটার জন্য শারিরীক সুরক্ষার কথা ভুলে গিয়ে একে অপরের গায় গেসে কেনাকাটায় এমনভাবে মগ্ন হয়ে পড়েছে দেখে মনে হয় যেন চলছে ঈদ বেচা কেনার উৎসব চলছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের লকডাউন আইন মানছেন না কেহ।

চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতি সদস্যরা বিসিসি মেয়রের আহবানে দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে সাড়া দিয়ে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরও সেই মালিক সমিতি অধিকাংশ সদস্যরা তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত ভংঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শাটার খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন বেচা বিক্রি।

বরিশাল শহরের কতিপয় খেটে খাওয়া দৈনিক আয়ের অটোচালকদের বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে তাদের চলাচল বদ্ধ করতে সক্ষম হলেও অপরদিকে ব্যবসায়ী বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার, কাটপট্টি, গ্রীর্জা মহল­া এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে এত পরিমানের লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বেড় হয়ে রাস্তায় চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে তা দেখলে মনে হয় না বরিশাল নগরীতে প্রশাসনের জারী করা রয়েছে লকডাউন।

সরেজমিন নগরীর চকবাজার এলাকায় গেলে দেখা যায়- অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাটার অর্ধেক খোলা ভিতরে মহিলা ও পুরুষ ক্রেতাদের নিকট চলছে বেচা বিক্রি সামনে দোকানের কর্মচারীরা রয়েছে দাড়িয়ে এসময় তারা গলমাধ্যম কর্মীদের দেখলে ভিতরে ক্রেতা রেখে বাহির থেকে পুনরায় সাটার টেনে লাগিয়ে দিচ্ছেন তালা।

অপরদিকে রেডিমেড দোকানের পাশাপাশি সড়কের ফুটপাতে বসেছে বসেছে অজস্্র দোকান সেখানে মহিলা ক্রেতাদের সাথে সাথে রয়েছে পুরুষ ক্রেতাদের ভীড়।

ছবি তোলার সময়ে কতিপয় দোকান মালিক পক্ষ কিছু না বলেলেও একাধিক দোকান-কর্মচারীরা বলেন, ভাই আর না খেয়ে থাকতে পারছি না আমি না হয় বর্তমান সমস্যাটা বুঝি কিন্তু ঘড়ের মহিলা ও সন্তানরা বুঝতে চায় না। দোকান বন্ধ থাকার অজুহাত দেখিয়ে মালিক পক্ষ গত দুই মাসের বেতন দিতে পারছে না। সেই সাথে আমাদের মত পরিবারকে কেহ কোন কিছু দিয়ে সহযোগীতা করেন নাই।

আমরা আমাদের দুঃখের কথা কারো কাছে না বলতে পারার কারনে কেহ আমাদের একবারের জন্য খোঁজ নেয়নি। এছাড়া আমাদের বরিশালের প্রভাবশালী জন প্রতিনিধি সিটি মেয়র কয়দিন রাস্তায় নেমে আমাদের মত লোকদের খোঁজ নিয়েছে আজ তিনি করোনার অজুহাত দেখিয়ে কতিপয় মালিকদের নিয়ে রাতে তার বসায় বসে বৈঠক করে দোকান বন্ধ রাখার আহবান জানান।

নগরীর চকবাজার দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন দত্ত বলেন, বর্তমান করোনা সমস্য সরকারের একার সমস্যা নয় এটা সকলের সমস্যা।

তাই আমি সকল সচেতন ক্রেতাদেরকে অনুরোধ করব তারা যেন নিজেরা শারিরীক দুরুত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য সু-রক্ষা নিয়ম মেনে কেনা কাটা ও চলা ফেরার আহবান জানান।

সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ ও আমার কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যদের বলব তারা নিজেরা স্বাস্থ বিধি অনুযায়ী ক্রেতাদের দুরুত্ব বজায় রাখার চেষ্টাার করার মাধ্যমেই ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখবেন।

মনে রাখতে হবে মালিক-কর্মচারী ও ক্রেতাদের আমাদের করোনার বিপদ এখনো কাটেনি আমাদের সকলের সচেতনতার মাধ্যমে এই মহামারীকে প্রতিরোধ করতে হবে।

এবিষয়ে বরিশাল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান  তিনি বলেন, আমরা জোড় করে কারো দোকান বন্ধ করতে পারবো না। আমরা চাই সবাই যেন স্বাস্থ্য সচেতনভাবে চলাফেরার মাধ্য মার্কেট করেন। আমি শুনেছি শহরে বেশ মানুষের সমাগমের সৃষ্ঠি হয়েছে। এ ব্যাপারে মানুষকে পুনরায় সচেতন করার জন্য আমি সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়।

উল্লেখ্য, ৯ মে রাতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্ল­াহ নগরীর চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতির সদস্যদের তার বাসায় আমন্ত্রন জানিয়ে বর্তমান করোনার সার্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার এক প্রর্যায়ে ঈদের আগে দোকান-পাঠ না খোলার আহবান জানান।

এতে মেয়রের আহবানে মালিক সমিতি মেয়রের আহবান মেনে নিয়ে ১০ মে রবিবার সাধারন সম্পাদক শেখ আঃ রহিমের বাস ভবনের সামনে বসে মালিক সমিতি যৌথভাবে এক আলোচনার মাধ্যমে দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা