বিজলী ডেক্স: দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০৮-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৭৩ জন। যায একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ৫১১জনে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি ৪৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১০ হাজার ১৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ২৬২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১৭৭৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। যাা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদের মধ্যে ১৯জন পুরুষ তিনজন নারী।। মৃত্যুর বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, দশজনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে এবং দুজনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৪০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৯৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৬০২ জন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন নেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনকে। এই সময়ে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯১ জন। বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন ৫৪হাজার ৩৮৩ জন। একই সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৯৪ জনকে। এ সময় ছাড় পেয়েছেন ৯৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৮৯৭ জন
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬১৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৩৪ জনকে।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ২১ জনের। সেটা ১৮ ও ২০ মে´র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ৬১৭ জনের। ওই তথ্যও জানানো হয় গত ২০ মে´র বুলেটিনে।
বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।