মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:২৯
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে রাতে নগরীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ৫ জাহাজের মধ্যে মরদেহ- হাসপাতালে মারা গেলেন আরও ২ জন ঢাকায় এডিস মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত মিয়ানমারের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু- শনাক্ত আরও ১০৭৯ ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন? প্রশ্ন করলেন সারজিস মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ সফল সিরাজগঞ্জের দুই তরুন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসায় উদ্বিগ্ন ভারত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হলো “সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস” ট্রেন গাজীপুরে ধুমপানমুক্ত বাংলাদেশ চাই সোসাইটির কমিটি ঘোষনা

করোনা ঘায়েলে সম্ভাবনাময় ‘অ‌্যান্টিবডি’ ও ‘টি-সেল’

বিজলী ডেক্স:

বর্তমানে ১০০টিরও বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে্ই শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম হাতিয়ার অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক ২০০৩ সালে ছড়ানো সার্স (সেভার অ্যাকিউট রেসপাইরেটরি সিনড্রোম) সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা এক ব্যক্তির কাছ থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করেছেন, যা কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিষ্ক্রিয় করতে পারবে বলে সম্ভাবনা দেখা গেছে।

‘নেচার’ সাময়িকীতে এই গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

গবেষকেরা বলেন, অ্যান্টিবডিগুলোর মধ্যে এস৩০৯ নামের একটি অ্যান্টিবডি কোভিড-১৯-এর বিপরীতে শক্তিশালী নিরপেক্ষ কার্যকলাপ দেখাতে সক্ষম হয়েছে। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কীভাবে এই অ্যান্টিবডি আটকে রাখে, তাঁরা তা দেখতে পেয়েছেন। এ অ্যান্টিবডি যখন ভাইরাস প্রোটিনকে আটকে রাখে, তখন অন্য কম শক্তিশালী অ্যান্টিবডি স্পাইকের অন্য এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্টিবডির এভাবে যুগপৎ কর্মকাণ্ড ভাইরাসের মিউটেশন ঠেকিয়ে একে অকার্যকর করে ফেলতে পারে।

টি-সেল
ইমিউন সিস্টেমের আরেকটি বিধ্বংসী অস্ত্র হচ্ছে হত্যাকারী টি-সেল। এই যৌগগুলো আমাদের কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এ কোষের সাহায্যকারী ভূমিকার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত দুটি গবেষণা নিবন্ধে গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা দেখেছেন যে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে খুনে টি-সেল করোনাভাইরাসকে খুঁজে বের করতে ও শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষণায় জানা গেছে, কিছু লোক, যাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটেনি, তাঁদেরও এ টি-সেল থাকতে পারে। কারণ, তাঁরা অতীতে করোনাভাইরাসের অন্য কোনো সংস্করণে সংক্রমিত হয়েছিলেন।

‘সেল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, মানুষের টি-সেলের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা এবং ক্ষমতা বোঝা জরুরি প্রয়োজন। যদি সার্স কোভ-২ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী টি-সেলে প্রতিক্রিয়া থাকে, তবে তা ভ্যাকসিন তৈরির একটি শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারে।

কোভিড-১৯-এর হালকা লক্ষণ থেকে সেরে ওঠা ১০ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালান লা জোলা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাঁরা তাদের সবার শরীরে সাহায্যকারী টি-সেলের উপস্থিতি শনাক্ত করেন, যা কোভিডের স্পাইককে শনাক্ত করতে পারে। টি-সেল লক্ষ্যকে শনাক্ত করার পর তা জৈব সংকেতের মাধ্যমে প্রতিরোধী কোষ বি-সেল এবং অ্যান্টিবডিলোকে জানিয়ে দেয়।

একই রকম ফল পেয়েছেন বার্লিনের গবেষকেরাও। তাঁরা ১৮ জন রোগীর মধ্যে ১৫ জনের শরীরে সহায়তাকারী টি-সেল পান, যা স্পাইক প্রোটিন শনাক্ত করতে পারে।

লা জোলা ইউনিভার্সিটির গবেষক শেন ক্রোটি বলেন, ‘এটি উৎসাহব্যঞ্জক যে আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সহায়তাকারী টি-সেলের ভালো প্রতিক্রিয়া দেখছি।’

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা