শনিবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৫২
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

গ্রাম হবে শহর-স্বপ্ন নয় বাস্তব

 বরিশাল ব্যুরো::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য সরকারী সম্পদের শতভাগ সুষম বন্টন, পরিকল্পিত রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ, শতভাগ ভিক্ষুক মুক্তকরন,শতভাগ বাল্য বিবাহ রোধ,মাদক র্নিমূল, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন, কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান,পরিচ্ছন্ন হাট-বাজার, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অগ্রগতি, অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠণ এবং বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে সম্পূর্ণ রূপে বদলে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের একসময়ের অবহেলীত এলাকা কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দৃশ্যপট।ফলে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরপর ছয় বার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে পদক লাভ করেছেন। মুজিব আদার্শের আদর্শীত শৌলজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে মুজিববর্ষের মধ্যেই পুরো ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করা হবে।  ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এ ইউনিয়নের কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্তি, বাল্যবিবাহ মুক্ত,মাদক র্নিমূল ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সরকারী সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
সরকারী সম্পদের সুষম বন্টন

ইউনিয়নবাসীর মধ্যে দারিদ্রতা দূরীকরনের জন্য সরকারী নির্দেশন মোতাবেক খানা জরিপের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে সরকারী ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন সামাজিক ভাতা দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন কর্মসূচীসহ সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থের সুষম বন্টনের মাধ্যমে এ ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
পরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ                                                                                                                                                                                                 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের চলাচলে অনুপযোগী গ্রামীণ ইট সলিং সড়কগুলোকে মাটি কেটে বর্ধিতকরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যার সুফল ভোগ করছে এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও গত ১০ বছরে ইউনিয়নের ২৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করাসহ বেনাপোল টু কুয়াকাটা সংযোগ সড়কের শৌলজালিয়া-সেন্টারহাট-বলতলা-মোল্লারহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নের বাকি কাঁচা সড়কগুলোকে কার্পেটিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ভিক্ষুক মুক্তকরন ॥ সরকার সারাদেশে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করার পর কাঠালিয়ার মধ্যে শৌলজালিয়া ইউনিয়নটিকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন। ইউনিয়নের ১৪ জন ভিক্ষুক পরিবারের মাঝে ভিজিডি, ভিজিএফ, সরকারী ভাতা প্রদান ও চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত অর্থায়নের মাধ্যমে পূর্নবাসন এবং কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের সু-দৃষ্টি থাকায় ইউনিয়নে দারিদ্রতা কমে এসেছে।
সড়ক বাতি স্থাপণ                                                                                                                                                                                                                        প্রামীণ জনগোষ্ঠিকে শহরের আধুনিক সুবিধা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নের সড়কগুলোতে আধুনিক রোড ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণ সড়কের গুরুত্বপূর্নস্থান সহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মিয় প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রয় দুই শতাধিক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো ইউনিয়নের সড়কগুলোতে বাতি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য                                                                                                                                                                                                                    গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে সরকারী-বেসরকারীভাবে ৩০০ টির অধিক গভীর নলকূপ স্থাপন, দরিদ্র পরিবারদের মাঝে বিনামূল্যে রিং, স্লাব বিতরণ ও হাট-বাজারে আধুনিক গণলেট্রিন নির্মান করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন তিনি।
কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান ॥ সরকারী প্রনোদনাগুলো কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণসহ কৃষকদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে এনে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে প্রতিনিয়ত উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। ইউনিয়নের প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে কৃষি কার্ড বিতরণ করায় সহজেই তারা সরকারী ভাবে কৃষি সেবা ভোগ করতে পারছেন।
ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ                                                                                                                                                                                                         দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইউনিয়নে ২০ টি ব্রিজ ও ২৫ টি কালভার্ট নির্মান করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রিপন।
পরিচ্ছন্ন হাট-বাজার                                                                                                                                                                                                        ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গুরুত্ব পূর্ণ স্থান গুলো ডাসবিন স্থাপন করছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রতিটি বাজার নিজে মনিটরিং করে ইউনিয়ন পরিষদে নিযুক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পরিস্কার পরিচ্ছন করান। ফলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হাট ও বাজারে রূপান্তরিত হয়েছে পুরো শৌলজালিয়া ইউনিয়ন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি                                                                                                                                                                                                                 শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রিয়া ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সর্বাতœক সহায়তা প্রদান। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহ প্রদান। আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া খরচ বহন চালিয়ে যাওয়ায়র ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা বিস্তারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারী অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দ্যেগে স্কুলে-স্কুলে গড়ে তোলা হয়েছে মুজিব কর্নার। নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সম্প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অর্থে পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের বই বিতরণ করা হয়েছে।
বাল্যবিয়ে বন্ধে রেকর্ড                                                                                                                                                                                                         ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি নিজ হস্তক্ষেপে পাঁচ শতাধিক বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে রেকর্ড গড়েছেন মাহমুদ হোসেন রিপন। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীরা এখন সুশিক্ষিত হয়ে দেশ ও সুন্দর জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে ওই ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছিল। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী জেএসসি/জেডিসি কিংবা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বাল্যবিয়ের কারণে বিয়ে বিচ্ছেদসহ নারী নির্যাতন ও যৌতুক সংক্রান্ত মামলাও ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। মাহমুদ হোসেন রিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাল্যবিয়ে রোধে কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ফলে গত ৯ বছরে শৌলজালিয়া ইউনিয়নে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে সমাজের ভয়াবহ ব্যাধি বাল্যবিয়ে।
অপরাধ প্রবনতা হ্রাস                                                                                                                                                                                                         গ্রামীণ  জনগোষ্ঠীর ছোট-বড় অপরাধগুলোকে নিয়ন্ত্রন ও পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যার সুফল ভোগ করছে গোটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ২০১১ সাল থেকে এ ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে একাধিক মামলার আবেদন করা হয়। যারমধ্যে অধিক মামলাই নিস্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দেশেরে ক্রান্তিকালে করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে শতভাগ সফল করতে গত ১০ মার্চ থেকে অদ্যাবদি দিন-রাত সমানতালে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রতি মুহূর্তে বাস্তবমুখী নতুন নতুন কর্মসূচী গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছেন। করোনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, গণসচেতনতা সৃষ্টি ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক সর্বসাধারন ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, জীবাণুনাশক সাবান, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বাস্তবায়ন                                                                                                                                                                                        করোনার মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে থাকা কর্মহীন মানুষের মাঝে সরকারের দেওয়া ত্রানের খাদ্য সামগ্রী নিজ হাতে বহন করে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে কেউ যেন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হয় তাই গোটা ইউনিয়ন লকডাউনের পাশাপাশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করে ব্যপক সুনাম অর্জন করছেন। ২০০৫ সালের পূর্বে এ শৌলজালিয়া ইউনিয়নবাসীর জন্য স্থায়ী কোন ইউনিয়ন পরিষদ ছিলোনা। পূর্বে যখন যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সুবিধামতো স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কিন্তু ২০০৫ সালে মাহমুদ হোসেন রিপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে এ ইউনিয়নবাসীর জন্য কাঠালিয়া- রাজাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের্^ ইউনিয়নের পূর্ব শৌলজালিয়া গ্রামে একটি আধুনিক ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সরকারী চাহিদা মোতাবেক নিজস্ব সম্পত্তি থেকে ৫০ শতাংশ জমি দান করেন। তারই ধারাবাকিতায় সেখানে সরকারীভাবে একটি আধুনিক ইউপি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিট পুলিশিং স্থায়ী ভবন নির্মাণে জমিদান 

জনগনের ঘরের দুয়ারে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে স্থায়ীভাবে বিট পুলিশিং এর কার্যালায় স্থাপনের জন্য নিজস্ব সম্পত্তি থেকে ১৬ শতাংশ জমি দান করেন মাহমুদ হোসেন রিপন। সম্প্রতি ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের বরাবরে ১৬ শতাংশ জমির দলিলপত্র দান করেন তিনি। যার ফলে সেবা নিতে এখন আর ইউনিয়নবাসকে থানায় যেতে হবে না। সাধারণ মানুষের হাতের কাছেই পাবে পুলিশের সেবা।

এ ব্যাপারে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর পরই রাজাপুর ও কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বজলুল হক হারুন। এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের ভাগ্যবঞ্চিত রাজাপুর-কাঠালিয়া উপজেলার উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে আমি শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জননেতা বজলুল হক হারুন এমপির দিক নির্দেশনায় ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ফলে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পরা এ ইউনিয়নটি কয়েক বছরের ব্যবধানে সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যতিক্রমী ইউনিয়নে পরিনত করেছি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা