অনলাইন ডেস্ক::
রাজধানীর নর্থ রোডের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতির মামলা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিকের অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদন (রিভিশন) খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জামিন চেয়ে করা আবেদনটিও খারিজ করেছেন আদালত। এর ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, রোববার (২৪ জানুয়ারি) অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত ৪ নভেম্বর দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ১০ এ আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ গোপাল। সেই আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার আদালত তা খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে একইদিন বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।
পরে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।