অনলাইন ডেস্ক:::
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করার অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। গণহত্যার বিচার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নাইপিদো। এদিকে, সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনারা আবারও হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের পর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে টালবাহানা করে আসছে মিয়ানমার। এবার দেশটির বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার বিলম্বিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের ঠিক দু’সপ্তাহ আগে আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশটি।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। তবে মামলার বিরুদ্ধে মিয়ানমার ঠিক কী ধরনের আপত্তি জানিয়েছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও মামলার কার্যক্রম অন্তত এক বছর বিলম্বিত করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নেইপিদোর বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হেগের আদালতে শুনানিতে একই ধরনের আপত্তি জানিয়েছিলেন বর্তমানে গ্রেফতার থাকা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
তবে মিয়ানমারের এ ধরনের আপত্তিকে মামলা বিলম্বিত করার ব্যর্থ চেষ্টা বলছে রোহিঙ্গা অধিকার সংগঠনগুলো। রাখাইনে থাকা ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গার সুরক্ষায় এরইমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবে চলতি সপ্তাহের সেনা অভ্যুত্থান পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। সেনাবাহিনী পূর্ণ ক্ষমতা নেয়ায় মিয়ানমার সেনারা ২০১৭ সালের মতো আবারও রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাম্বিয়া।