অনলাইন ডেস্ক::
কৃষক আন্দোলনের আড়ালে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’র পর্দা ফাঁস করার লক্ষ্যে তদন্ত চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিবেশবিদ গ্রেতা থানবার্গের পোস্ট করা আন্দোলনের প্রচারকদের (টুলকিট) নথি। এমনই দাবি করে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ‘সুইডিশ পরিবেশবিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়নি। যারা প্রচারক, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হচ্ছে।’
কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভারত। আন্দোলনের আঁচ পৌঁছে গেছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এই আন্দোলনের সমর্থনে ইতোমধ্যেই মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, পপস্টার রিহানার পর আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে টুইট করেছিলেন সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেতা থানবার্গ।
এর আগে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতায় উসকানি। এরপর আবার পাল্টা টুইট করেন থানবার্গ। টুইটে লেখেন, ‘আমি এখনও কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করি। ঘৃণা, হুমকি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও অবস্থান কখনোই বদলাবে না।’
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার প্রবীর রঞ্জন জানান, ‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুলকিট সংক্রান্ত নথি পাওয়া গেছে। মামলার অভিযোগে কারও নাম নেই। টুলকিটের নির্মাতাদের বিরুদ্ধেই মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টির ওপর নজর রাখছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়ানোর অভিযোগে আমরা মামলা দায়ের করেছি।’
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনে সমর্থনে গত বুধবার রাতে টুইটারে একটি টুলকিট পোস্ট করেছিলেন গ্রেতা থানবার্গ। পরে অবশ্য মুছে দেন তিনি। এরপর নতুন একটি টুলকিট পোস্ট করেন বৃহস্পতিবার সকালে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খালিস্তানি সংগঠনের সমর্থক পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন এই টুলকিটগুলো তৈরি করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব রাজ্যে নিজেদের জন্য খালিস্তান নামে পৃথক দেশ চায়।