বরিশাল প্রতিনিধি ::
হাত ও পা দুটোতেই সমস্যা নিজের চলা-ফেরা করতেই অনেকটা কষ্টহয়। সরকারের প্রতিবন্ধী তালিকায় নামও রয়েছে। নিয়মিত ভাতা পান তিনি। তারপরও বাবার ক্ষমতাবলে মাদ্রাসার রক্ষার দায়িত্ব ( নিরাপত্তাকর্মী) হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। দায়িত্ব পালন না করতে পারলেও নিয়মিত বেতন তুলছেন তিনি। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দক্ষিন হারতা মমিন উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা
তা অধ্যাক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার নিজের ক্ষমতার বলে দূর্নীতির আখরায় পরিনত করছে মাদ্রাসাটি । প্রতিবন্ধী ছেলে রমজান তালুকদারকে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি দিয়ে নিয়মিত বেতন তুলছেন।এছাড় মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে অর্থ আদায়, বরাদ্দের টাকা লোপাট, ছাত্র ছাত্রীদের কাছথেকে বাড়তি অর্থ আদায়সহ শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর এক কর্মচারী বলেন, তিনি মাদ্রাসার বিভিন্ন বরাদ্দের লুটপাট করেন এবং ম্যানেজিং কমিটির কাছেও এর জবাবদিহিতা করেন না। কেউ কিছু বল্লে চাকরি খেয়ে ফেলবেন বলে হুমকী দেয় তিনি।
হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হরেন রায় বলেন, তার ছেলে রমজান সরকারী তালিকাভূক্ত প্রতীবন্ধী। সে নিয়মিত ভাতা পান তবে প্রতিবন্ধীরা নিরাপত্তাকর্মী হতে পারবে কি পারবে না সেটা জানা নাই।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যাক্ষ আমার যা ইচ্ছে হবে এখানে আমি সেটাই করতে পারি। আর আমার ছেলে এখানে সরকারী ভাবে তার অভিজ্ঞতায় চাকরী পেয়েছে।
তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজকের প্রথম পর্ব