অনলাইন ডেস্ক::
আগামী এপ্রিল থেকে আমদানি বাণিজ্যে ব্রেক্সিটের নতুন আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। আর এতেই স্কটল্যান্ডের খাদ্য ও পানীয় সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো এই মাঝ ফেব্রুয়ারিতেই আশঙ্কা জানিয়েছে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে।
স্কটল্যান্ডের খাদ্য ও পানীয় বিষয়ক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী জেমস উইথার্সের মতে, এই আশঙ্কা ‘ভয়ানক’ পর্যায়ের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই কদিনে সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য খাত একাই প্রতিদিন লাখ লাখ পাউন্ড ক্ষতি গুনেছে। খুব সহসাই এই পরিস্থিতিতে থেকে উঠে দাঁড়ানোর কোনো পূর্বাভাস নেই তার কাছে। বরং আরও বাজে অবস্থার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন উইথার্স।
গত জানুয়ারির শুরু থেকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ায় এরই মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে।
যদিও, ব্রিটিশ সরকার বারবারই আশ্বাস দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক মাস ধরেই নতুন আইনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। আরও কয়েক মাস এই বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
উইথার্সের মতোই ভয়ানক আগামীর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফেইলটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী জিম কামিসকি। একই সময় তিনি মনে করিয়ে দেন, করোনা মহামারির ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপক। তার ভাষায়, পণ্যের মজুদাগার পণ্যে ভরপুর। মহামারি কাটিয়ে ভোক্তারা একটি স্বাভাবিক দিনের অপেক্ষায় সময় পার করছেন। কিন্তু, এই খাতে সহসাই স্বাভাবিক পরিস্থিতির কোনো ইঙ্গিত নেই। এই ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
তবে, কামিসকির মতে, এই মহামারির প্রভাবের চেয়ে বেশি খারাপ প্রভাবের জন্য দায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসা অর্থাৎ ব্রেক্সিট।
এদিকে, আরেক ব্যবসায়ী দম্পতি উইলমা ও তার স্বামী ডেভিট; তারা আইসক্রিমের ব্যবসা করেন। তাদের একটি পর্যটন কেন্দ্রও রয়েছে। কিন্তু ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গত মার্চ থেকেই সরকারিভাবে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই মন্দ সময় পার করছেন তারা। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন উইলমা। কারণ, আগে যেখানে তারা সপ্তাহে ৩০০টি ক্রয়াদেশ পেতেন বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩০টিতে।
মহামারি মন্দার মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকরের ফলে এখন তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাড়তি খরচের মুখে পড়তে হচ্ছে। উইলমারের ভাষায়, ব্রেক্সিট তাদের বিরক্তিকর একা করে ছেড়ে দিয়েছে আর মহাক্ষতির মুখে ফেলেছে মহামারি।