রবিবার, ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:২১
শিরোনাম :

পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্যে হেনস্তায় পড়েন সাধারণ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক::

পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্যে প্রায়ই হেনস্তায় পড়েন হয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তুচ্ছ ঘটনায় বার বার ঘটছে সংঘাত। এমন বেপরোয়া আচরণ বন্ধে আইন প্রয়োগে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রক্তক্ষয়ী এমন ঘটনাগুলো যেন আর না ঘটে সে জন্য সব পক্ষকেই সহনশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শ্রমিকদের আচরণগত বিষয়টি সড়ক পরিবহন নীতিমালায় আনার পাশাপাশি তাদের শৃঙ্খলার মধ্যেও আনা জরুরী।

উত্তপ্ত রাজপথ, সংঘর্ষ, কখনও রক্তক্ষয়ী হামলা। হতাহাতের ঘটনাও বাড়ছে একের পর এক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন সংঘর্ষে জড়াচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। সবশেষ বুধবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পরিবহণ শ্রমিকরা। সিলেটে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লেগুনা স্ট্যান্ড সরানো নিয়ে তুলকালাম করে শ্রমিকরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বেপরোয়া মনোভাব ও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ই শ্রমিকদের সহিংস আচরণের পেছনের কারণ। তারা শুধু শিক্ষার্থী না যাত্রীর উপরও হামলা চালাচ্ছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রমিকদের সহনশীল আচরণের শিক্ষার পাশাপাশি যাত্রী-শ্রমিক সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে সচেতন করতে পরিবহণ মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, অনেক চালক তৈরি হয় ওস্তাদের কাছ থেকে। তারা চালাতে চালাতে গাড়ি চালানো শিখে যায় এবং লাইসেন্স পেয়ে যায়। তাদের (চালক) মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জন্য বিটিআরটিএ-এর পক্ষ থেকে একটা ক্র্যাশ প্রোগাম রাখা জরুরি।

শিক্ষার্থী-যাত্রী বা পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব থেকেই তুচ্ছ কারণই হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ইস্যু বলেন সড়ক পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা। শ্রমিকদের আচার-ব্যবহারও সঠিকভাবে নীতিমালার আওতায় আনার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিচার্স ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটা নীতিমালা করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ড্রাইভিং কোর্সে শিশু, নারী, যুবক এবং বৃদ্ধরা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

নানা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলশ্রুতিতে সড়ক পরিবহণ আইনের সংশোধনী আনা হয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা