সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৩৭
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

মুলাদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করল ছেলে

মুলাদী প্রতিনিধিঃ

মুলাদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বড় ছেলে শাহাবুদ্দিন এর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ভর্তি ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের চরগাছুয়া গ্রামের মৃত আঃ রহমান সরদার এর বড় পুত্র শাহাবুদ্দিন সরদার(৪৫) কে তার মাতা গোল চেহারা বেগম বসবাস করার জন্য তার সেজো ছেলে মোসলেম সরদার ঢাকায় থাকার সুবাদে তার নির্মানকৃত থাকতে দেন। দীর্ঘদিন পরে মোসলেম সরদার তার পরিবার নিয়ে দেশে এসে তার ঘরে ঢুকলে মোসলেম সরদার এর স্ত্রী খুকু মনিকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে ঘর থেকে বের করে দেন শাহাবুদ্দিন সরদার ও তার লোকজন। এঘটনায় মোসলেম সরদার এর মাতা গোলচেহারা বেগম গত ২২ই মার্চ শাহাবুদ্দিন এর কাছে গিয়ে ঘর খালী করে দিতে বললে শাহাবুদ্দিন, তার স্ত্রী লিপি বেগম কন্যা তানিয়া আক্তার(২৫)-স্বামী আমিন হোসেন, সনিয়া আক্তার(২২), রেহেনা বেগম(২০) এবং পুত্র রবি সরদার(১৮) সহ তার লোকজন মাতা গোলচেহারা বেগম কে এক দিন এক রাত আটকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে পরের দিন ২৩ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বড় মেয়ে চম্পা বেগম মাকে খোজতে শাহাবুদ্দিন এর বসবাস কৃত ঘরে গেলে তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহাবুদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। চম্পা বেগম ও তার মা গোলচেহারা বেগম এর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের কে শাহাবুদ্দিন এর ঘর থেকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। হাসপাতালের বেডে অসুস্থ হয়ে জীবন মরনের সন্ধিখনে গোলচেহারা বেগম বলেন দশ মাস দশ দিন গর্ভে রেখে বুকের দুধ পান করিয়ে যে সন্তানকে তিলে তিলে মানুষ করেছি সেই সন্তানের হাতে মার খাওয়ার আগে কেন আমার মরন হল না, আমি জীবিত থাকা অবস্থায় যেন আমার সেজো ছেলের ঘরটি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারি। এঘটনায় আহত চম্পা বেগম বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে মুলাদী থানার এস আই সহিদুল ইসলাম বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করব।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা