![]()
নিজস্ব প্রতিবেদক::
উজিরপুর উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামে চাঁদার টাকা না দেয়ায় গুঠিয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে আলী আহম্মেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সময় নগদ ৭০ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও দুটি উন্নত মানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা । শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় গুঠিয়া বন্দর মাহি মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতের নাম: জাকির হোসেন হাওলাদার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে ও গুঠিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে সে ঠিকাদারির কাজে রাস্তায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ফেলানোর সময় স্থানীয় পুলিশের নাম ভাঙানো দালাল ও বহু আলোচিত চাঁদাবাজ আলি আহম্মেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে রাস্তায় বালু ফেলানো বাবদ জাকিরের কাছে প্রায় এক লক্ষ চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাঁদা দিতে সে অপারগতা স্বীকার করলে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আলী আলি আহম্মেদ ও তার বাবা আফতার সরদার, ভাই আক্কাস আলী, মানিক সরদারের ছেলে শামসুল হক, কাওসার, আলতাফ সরদার ও জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জাকির কে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা প্রজাপতি সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে। উভয়ের দস্তাদস্তি তে অস্ত্র ফেলে দেয়। একপর্যায়ে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে আহতকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ওই ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান। আলি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ মাসোয়ারা আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রামের একাধিক সুন্দরী যুবতী তার যৌন হয়রানির শিকার। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মুখ খুলতে চাইলে তাকে তাকে মামলা, হামলা ও হত্যাসহ বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে থাকে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে স্থানীয় থানার বিভিন্ন পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চাঁদা বাজি করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।