মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৩৮
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

মুলাদীর সফিপুরে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে ভন্ড ফকিরের প্রতারণা

রেদোয়ান আহমেদ ঃ

মুলাদীর সফিপুরে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে ভন্ড ফকিরের প্রতারণা মুলাদীর সফিপুর ইউনিয়নে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার করে আসছে এক ভন্ড ফকির। উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের (ব্রজমোহন) গ্রামের মৃত নাজেম আলী সরদারের পুত্র সোলেমান সরদার ওরফে সোলেমান ফকির কথিত দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চিকিৎসার নামে প্রতারণার ব্যাবসা চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তিরা জানান কোনো প্রকার লেখাপড়া কিংবা আরবি না জানলেও ৩০ বছর আগে সোলেমান ফকিরের আর্বিভাব ঘটে। প্রথম দিকে এলাকায় সাধারণ মহিলাদের জিনে ধরা, ভুতে ধরা, জাদুটেনা, বানটোনার চিকিৎসার শুরু করেন। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে সোলেমান ফকিরের প্রতারনার পরিধিও বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে তিনি ঝাড়ফুঁক চিকিৎসার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। লোকমুখে সোলেমান ফকিরের কেরামতির কথা শুনে প্রতিদিন ৮/১০জন রোগী আসেন। ফকির প্রথমে রোগীকে বিভিন্ন প্রকার পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তিনি গোপন আস্থানায় মহিলা রোগীদের একাকী চিকিৎসার নামে অনৈতিক কাজ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। রোগীরা ভালো হয় কীনা জানলে চাইলে সোলেমান ফকিরের দাবী তিনি অনেক রোগী সুস্থ করে তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। লোকমুখে সোলেমান ফকিরের কেরামতির কথা শুনে দূর দূরন্ত থেকে রোগীরা ছুটে আসলেও কোনো রোগী তার চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন কিনা তা জানে কেউ। গোসাইরহাট উপজেলার নলমুরি ইউনিয়নের কোদালপুর গ্রামের কাসেম হাওলাদারের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, তার মেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকমুখে শুনে সোলেমান ফকিরের কাছে নিয়ে আসেন। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চিকিৎসার পরেও তার মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেনি। ভেদুরিয়া গ্রামের মৎস্যজীবী জাকির হোসেন বলেন, তিনি তার অসুস্থ স্ত্রী জান্নাত আরাকে নিয়ে সোলেমান ফকিরের কাছে গেলে তিনি জানান জান্নাতকে জাদুটোনা করা হয়েছে। ১০ হাজার টাকা নিয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস চিকিৎসার পরেও সুস্থ্য না হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখানোর পরে জান্নাত আরা সুস্থ হয়েছেন। এ ব্যাপারে সোলেমান ফকির চিকিৎসার নামে প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান তিনি সুনামের সাথে দীর্ঘ ৩০ বছর সর্বরোগের চিকিৎসা করে আসছেন। মুলাদী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এস.এম মাকসুদুর রহমান জানান ভন্ড ফকিরের প্রতারণার বিষয়টির খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা