বুধবার (২৩ জুন) সকাল ১১টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রথমে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ৬ দফার মুক্তির সনদ, ৬৯ এর গণঅভুত্থ্যান, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সবাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের জন্ম না হলে আমাদের এ দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু সহ যারা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন তারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এসময় তিনি ১৯৭২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কারামুক্ত বঙ্গবন্ধুর গণসংবর্ধনা সভার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই মঞ্চে সভাপতি হিসেবে বলেছিলাম, যে নেতা তার জীবনের যৌবন কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগারে। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। সেই প্রিয় নেতাকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করলাম। ১০ লাখ লোক ২০ লাখ হাত তুলে সমর্থন করলেন। তখন ঘোষণা করি, এবার বক্তৃতা করবেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, বাংলার স্বাধীনতা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ- এই দুটি স্বপ্ন ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন কিন্তু আরেকটি শুরু করেও শেষ করে যেতে পারনেনি। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সেই কাজ সমাপ্ত হওয়ার পথে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো, তারাই বলছে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল।
আওয়ামী লীগের আন্দোলন, সংগ্রাম ও অর্জন তুলে ধরে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল, দোস্ত মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন লাবু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও মোঃ ইউনুছ। সভায় পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।