পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার ৪ নং আটঘর কৃড়িয়ানা ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামের জনগণ এখন ভূমিদস্যু মতিয়ার রহমান ও তার ছেলেরইব্রাহিম মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুতা অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসা করে মোটা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দেখার মত নাই কে। ইব্রাহিম আইনের কোন তোয়াক্কা করে না, বিভিন্ন সময় জেল হাজতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলে লোক জন কে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন ইব্রাহিম। গত বছর সে মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পরে বেশ কিছু দিন কারা বাস করে যাবে নিয়ে আসেন ইব্রাহিম ।
তবে ইব্রাহিম একাধিক মামলায় জেল হাজতে থাকতে-থাকতে বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করে নিজেকে নিজে অপরদিকে ইব্রাহিম নিজ এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে মাদক ব্যবসা রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন নীরব ভাবে, প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ইব্রাহিম।চলমান মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী হতাশ বর্তমানে দেশ বিপদগ্রস্ত তার পরেও স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে দিনের পর দিন, তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইব্রাহিম তার বাবা ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা ধুমধাম চালাচ্ছেন ।এলাকার নিরীহ মানুষ বলেন তরুণ যুব সমাজ নষ্টের পথে দেখার দেখার মত নাই কেউ এই মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে প্রতিষ্ঠ করেন অত্র এলাকাবাসী।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ইব্রাহিম বংকুরা ব্রীজের উপর শো-ডাউন দিয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে হুমকির মুখে রাখেন। যাতে তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস না পায় যদি কেউ মুখ খুলে তাহলে তাদেরকে মামলা-হামলার ও জমি দখল করার হুমকি দেয়, না হলে অন্যথায় মহিলাদেরকে শ্লীলতাহানি করার হুমকি প্রদান করেন সূত্র অভিযোগ আছেন এলাকা ।
অন্যদিকে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী টাকার ক্ষমতার বলে মতিউর রহমান ও তার ছেলে ইব্রাহিম গত ২৩ জুন, ২০২১ তারিখ নেছারাবাদ উপজেলা ৪নং আটঘড় কুড়িয়ানা ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামের জেল নং১৮/১৯ খতিয়ান১/১.ও১৮/৮৩ ভিপি কেসের দখলীকৃত বি.এস ১৮৬ দাগ নং এ ০.১৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছে স্বপন কুমার দাস (হোমিও চিকিৎসক) বাড়িতে না থাকায় প্রকাশ্যে লেবু পেড়ে নেওয়া ও ৩৩ ঝাড় শবরী কলা রোপন করা অবস্থায় নষ্ট করে ফেলে খবর শোনার পর স্বপন কুমার দাস (হোমিও চিকিৎক) ফোন দিয়ে মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে বলে ঐ জমিতে তার ছেলে ১০০পিচ সুপারি গাছ লাগাবে ।
ঐ জমি তার নিজের বলে দাবী করে তাই তার ছেলে ও ছেলের সন্ত্রাস বাহিনী না মিলে আগে থেকে জোর করে দখল করার চেষ্টা চালায় । ভুক্তভুগির প্রশ্ন ১/১ক গেজেডের তফসিল সম্পত্তির সে কিভাবেমালিকানা দাবি করেন এবং কে তাকে দলিল দিয়েছে আর ভিপি সম্পত্তির ফসল নষ্টের অধিকার সে কোথায় পেলো?এ প্রশ্নের জবাব জানতে চাইলে ভুক্তভুগী কে প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। জমির মালিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তা জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই মাদক ব্যবসায়ী ভূমিদস্যু তাদের ভয় হাটে বাজারে চলাফেরা করতে পারছেন না তবে ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
পুরো বিষয় নিয়ে মতিউর রহমান ও তার ছেলে ইব্রাহিম এর কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে বারবার জানার চেষ্টা করলে তারা ফোনটি রিসিভ করেন না।
এবিষয়ে নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এরিয়ায় কোন মাদক ব্যবসায়ী ছাড় দেওয়া হবে না জমিজমা বিষয় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি অপরাধীদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
বিস্তৃত আগামী পর্বে আসবে…………………