নিজস্ব প্রতিবেদক::
মুলাদীতে স্বেচ্ছাশ্রমে পানি নিষ্কাশন নালা (ড্রেন) পরিস্কার করা হয়েছে। বুধবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিগন্ত যুব সংঘের সদস্যরা উপজেলার সোনামদ্দিন বন্দরের ড্রেন পরিষ্কার করেন। বন্দরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় এ উদ্যোগ নেন। জানাগেছে, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলা সোনামদ্দিন বন্দরে সরকারি খরচে পানি নিষ্কাশন নালা তৈরি করা হয়। তৈরি পর থেকে ওই নালা কেউ পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেননি। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় এতে ময়লা আবর্জনা জমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরের দক্ষিণ গলি কাচাবাজারসহ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। জনস্বার্থে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিগন্ত যুব সংঘ বন্দরের পানি নিষ্কাশন নালা পরিস্কারের উদ্যোগ নেন। বুধবার সংগঠনের ১০জন সদস্য সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরিশ্রম করে পানি নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিগন্ত যুব সংঘের সভাপতি মো. সুমন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, সদস্য মো. রিফাত হোসেন অপু, আব্দুলাহ, রাশেদ, আজম মোল্লা, মো. এরশাদ হাওলাদার প্রমুখ।
দিগন্ত যুব সংঘের সভাপতি মো. সুমন সিকদার জানান, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজ করার লক্ষ্যে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে সংগঠনের সদস্যরা বন্দরের দুইজন শারিরীক প্রতিবন্ধী দোকানদারকে নিয়মিত পানি এনে দেওয়াসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করছেন। বন্দরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনগুলো পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, সোনামদ্দিন বাজারের পূর্বপাশে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়েছিলো। সংগঠনের উদ্যোগে সদস্যরা স্বেচ্ছায় সেখানে মাটি ভরাট করে দিয়েছেন।
সংগঠনের সদস্য মো. এরশাদ হাওলাদার জানান, দিগন্ত যুব সংঘ আজ (বুধবার) বাজারের ড্রেন পরিস্কারের কাজ করছে। ভবিষ্যতেও সমাজ উন্নয়নে সদস্যরা কাজ করবে।
সোনামদ্দিন বন্দরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, স্থানীয় যুবকরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। বর্তমানে যেখানে টাকা পয়সা দিয়ে কাজ করার মানুষ পাওয়া যায় না। কিন্তু দিগন্ত যুব সংঘের সদস্যরা বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। সংগঠনটি সবার সহযোগিতা পেলে উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রেরণা পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।