বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:৩৯
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

চালু’ হতে পারে গণপরিবহন

অনলাইন ডেস্ক::

মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহন। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে যানজট। এ ছাড়া ফেরিঘাটেও দেখা যাচ্ছে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই যানবাহন চলাচলে কিছুটা শিথিল হতে পারে। বিশেষ করে পশুর হাটে আসার জন্য সীমিত পরিসরে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে খুলে দেওয়া হতে পারে বিপণিবিতানও। আবার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদে সবাইকে কর্মস্থলে রাখারও চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
এদিকে লকডাউন শিথিলতার বিষয়ে রোববার (১১ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে। তবে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকছে কি না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক। ১৪ জুলাইয়ের পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে।
এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সীমিত সময়ের জন্য দোকানপাট খোলার আবেদন জানিয়েছে দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি বাংলাদেশ। রোববার (১১ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেওয়া এক চিঠিতে এ আবেদন করেছেন তারা।

অন্যদিকে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস রোধে দেশে কারফিউ বা ১৪৪ ধারা জারির পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এনসিডিসি পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে দেশের মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে।
এ পরিস্থিতিতে কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচি দিলে করোনা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে কারফিউ জারি না করার বিষয়ে মত দিয়েছেন প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ।
কারফিউ জারিকে অপরিণামদর্শী উল্লেখ করে ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষকে অভাবে রেখে আটকে রাখা যাবে না। তারা যখন খাবারের জন্য রাস্তায় বের হবে তখন কি গুলি করে মেরে ফেলা হবে? এটা তো কোনোভাবেই সম্ভব না। কারণ, খাবারের অভাবে কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকেই মারা যেতে পারে।
অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, কারফিউর নিয়ম হলো, কেউ বের হলে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। তাহলে যারা না খেয়ে থাকবে তারা কী করবে? কারফিউ দিলে দুই-আড়াই কোটি মানুষ না খেয়ে থাকবে। ফলে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ব্যবস্থা থাকতে হবে। আরামে ঘরে বসে মুখে কারফিউর কথা বলা সহজ। বাস্তবতা কঠিন।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও। এরপর ৫ জুলাই বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা