মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:২০
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

কুড়িগ্রামে বিয়ের দাবীতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

বিজলী ডেক্স::

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে বিয়ের দাবীতে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে নীলফামারীর এক কলেজ ছাত্রী তিনদিন ধরে অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায়। বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়া কলেজ ছাত্রী লিপি নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজর অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডোমার থানার নাউতাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামে মেয়ে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রাশেদ নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়কের হাট মন্ডলপাড়া গ্রামের কুশাই মিয়ার ছেলে। লিপি জানায়, ২০১৮ সালে আমার উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিল কনস্টেবল রাশেদ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রেই তার সাথে দু’জনের পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে
রাশেদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে আমরা একসাথে চলাফেরা এবং মেলামেশা করেছি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন সে এড়িয়ে চলছে। গত তিনমাস থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এবং অন্যত্র বদলী হয়ে গেছে। রাশেদের দেয়া ঠিকানা আমি তার বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না। nএদিকে রাশেদের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে জোরপূর্বক বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ওই রাতেই কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মেয়েটিকে নিজ বাড়ীতে হেফাজতে নেন। তিনদিন থেকে মেয়েটি চেয়ারম্যানের বাড়িতেই রয়েছেন। এ বিষয়ে রাশেদের সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। রাশেদের কর্মস্থলসহ তথ্য চাইলে পরিবারের সদস্যরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে এই বিষয়ে রাশেদের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটি জোড় করে রাশেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে

প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। আমার ছোট ভাইয়ের সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। এছাড়াও গত দু’বছর আগে পারিবারিকভাবে রাশেদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়েটি রাশেদসহ আমাদের বিপদে ফেলতে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারণে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরিবাররের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে। কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা