অনলাইন ডেক্স:
মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা-বোনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার হওয়া মেহজাবিন নিহত দম্পতির বড় মেয়ে। রোববার (২০ জুন) রাজধানীর সিএমএম আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার সকালে মেহজাবিন ইসলাম মুনের নামে মামলা করা হয় এবং তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় রাজধানীর কদমতলী থানা পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর সংবাদমাধ্যমকে জানান, মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই এবং আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফরকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকালই মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার স্বামী শফরকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
এর আগে শনিবার (১৯ জুন) পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিবারে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন মেহজাবিন মুন। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
জানা যায়, দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।