অনলাইন ডেস্ক ::
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে নির্মম নির্যাতনের শিকার লিজা (১২) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার সমস্ত শরীরে অবর্ণনীয় জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আজ শনিবার (৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে বসুন্ধরার বি ব্লকের, ৪ নম্বর রোডের ১৯৩ নম্বর বাসার দরজার তালা খুলে ভিতরে বাথরুম থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে থাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে।
নির্যাতনের শিকার লিজা জানায়, তুচ্ছ সব কারণে তাকে নির্যাতন করা হতো। ঘুম থেকে দেড়ি করে উঠলে, কাজ না পারলে, পাশের বাসার বিড়াল শব্দ করলেও গৃহকর্ত্রীর ছেলের অভিযোগেও লিজাকে মারধর করা হতো। রান্না করার গরম খুন্তি দিয়ে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছ্যাকা দেয়া হতো। এছাড়া রড দিয়ে পিটানো হতো। সবশেষ তাকে বাথরুমে আটকে রেখে তিন দিন আগে বাসা থেকে চলে গিয়েছে গৃহকর্তা এজিস সাকলেন ও গৃহকর্ত্রী তান্নী।
সে আরও জানায়, এই তিন দিন বাথরুমের পানি খেয়ে বেঁচে ছিল সে। অনেক কান্নাকাটি করেও কারো সাড়া পায়নি। আজ দুপুরে পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা তার চিৎকার শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মাসুদ জানান, বেলা ৩টার পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে বসুন্ধরার ওই বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বাসার দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে পরে তালা খুলে তাকে বাথরুমের ভেতর আটকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি জানান, গৃহকর্মীর সমস্ত শরীরে যখম ও ঘা রয়েছে। তাকে ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। বাবা রতন তাদের রেখে চলে গেছে। মা সেলিনা অন্যত্র বিয়ে করেছে। ১ ভাই ৩ বোনের মধ্যে ৩য় লিজা। ২মাস আগে কমলা নামে এক নারী তাকে ওই বাসায় কাজে দিয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বেতনে।