মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৩১
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

শিক্ষার্থী নির্যাতন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা বাবুগঞ্জে !

স্টাফ রিপোর্টারঃ  বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় প্রতাবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা বির্তকিত সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণির একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে বেধরক পেটানোর ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পরে লেগেছে একটি প্রভাবশালী মহল। জানাগেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বিষয়টি না গড়ায় সে প্রচেষ্টায় একদল দালাল তৎপর হয়ে উঠেছে।

প্রতাবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা শালীস মিমাংশার মাধ্যমে সুরাহা করায় স্থাণীয়দেও মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৬ জুলাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মাছুম জোমাদ্দার এর পুত্র ফাহিমকে ক্লাসরুমে বসে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পেটানোর একপর্যায়ে ফাহিম মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে ।

এ প্রসঙ্গে ফাহিমের দাদা কামাল হোসেন জোমাদ্দার বলেন ‘ ওই শিক্ষক আমার নাতীকে মারতে মারতে মেঝেতে ফেলে দেয়। বার বার ক্ষমা চেয়ে রক্ষা হয় নাই তার। আমার পুত্রবধু অসুস্থ থাকায় দুই দিন স্কুলে আসতে পারেনি ফাহিম। তাই আমি স্কুলে এসে ফাহিমকে স্যারের হাতে তুলে দিয়েছিলাম তবু কেন থাকে এরকম নির্য়াতন করা হলো ।

এর আগেও ঐ শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির সৌরভ, জান্নাতুল ফেরদাউস ও তৃতীয় শ্রেণির রাজনকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে ক্ষমা প্রার্থনা করে রক্ষা পান। তাৎক্ষনিক এসএমসির সভাপতি ও এলাকার গন্যমান্য নিয়ে শিক্ষক আবু হানিফ তার অন্যায়ের কথা অকপটে স্বিকার করেন। উপস্থিত অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না অঙ্গিকার করেন। এলাকার একাধিক সুত্রে জানা যায়- ওনি মূলত প্রধান শিক্ষক নন। নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ওনি যোগদান করতে দেননি। প্রভাব খাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বির্তকিত শিক্ষক আবু হানিফের অপসারণের দাবী জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির এসএমসির সভাপতিসামছুল হক জোমাদ্দার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন একটি অপরাধ।

কেনো এ ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে তা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন না করার নির্দেশনা রয়েছে’।

আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং তাৎক্ষনিক ভাবে সুরাহা করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে তিনি এ রকম আচরন আর করবেন না জানিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি আরো বলেন- ভবিষ্যৎে যদি এ রকম ঘটনা ঘটান তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকিব।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা