ডেক্স রিপোর্ট:
এ বছর ডেঙ্গু জ্বর আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। ভাইরাস জনিত এ রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শরীরে যেন পানিশূন্যতা না হয়। এ সময় দেহে পানির সমতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ভিটামিন সি জাতীয় ফলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
প্রচুর পরিমাণে তরল-জাতীয় খাবার, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে।
কিছু ফল রয়েছে যা খেলে ডেঙ্গু জ্বর সারাতে ভালো কাজ করে। কারণ এই খাবারগুলো শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
পাকা পেঁপে ও এর পাতার রস: ভিটামিন এ, বি ও সি, সমৃদ্ধ পেঁপে শরীরকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। পেঁপের পাতা শরীরে রক্তের প্লেটলেটের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে।
ডাব: এতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন রয়েছে। দেহের স্নায়বিক জটিলতা, অন্ত্রের তারল্য ও কোষের জলীয় শোষণের সমতা বজায় রাখে ডাব। তাই ডেঙ্গুজ্বরে ডাব খুবই উপকারী।
আমলকি ও বেদানা: প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর। এটিও রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
টক জাতীয় ফল: লেবু, পেয়ারা, আনারস, কমলায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব খাবার মানবদেহে কোলাজন তৈরিতে, রোগ প্রতিরোধ ও ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবুর রসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ায়।
মিষ্টি কুমড়া: ভিটামিন ‘এ’ রক্তে প্লাটিলেট তৈরিতে সাহায্যে করে। তাই ডেঙ্গু রোগীর রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারে।
ডালিম ফল: এই ফলে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে।
অ্যালোভেরার জুস: রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেট বাড়ে।