বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, নৌ-পর্যটনের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের লৌহজং-এ শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা ক্রুজ এন্ড লজিস্টিকস এর আয়োজনে ‘পদ্মা ক্রুজ’ নামে নৌভ্রমণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পদ্মায় নৌ-ভ্রমণ আয়োজনে পদ্মা ক্রুজ নামে থাকবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ। মাওয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ডে ক্রুজ (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১.০০ টা) এবং বৈকালিক ক্রুজ ( দুপুর ২.০০ টা থেকে বিকেল ৫টা) পরিচালিত হবে। নৌ-ভ্রমণ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দুপুরের খাবার ও হালকা নাস্তা এবং সার্বক্ষণিক চা ও কফি। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্রমণসূচি ও খাবার মেনু পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালাতে নৌ পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের সমন্বিত উন্নয়নে যে পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন হচ্ছে সেখানেও নৌ-পর্যটনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। নৌ-পর্যটন টেকসই পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। এটি আমাদের উন্নয়ন সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু নদীর দুই পাড়ের মানুষকে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত করবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করবে। বর্তমানে পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ এই সেতু। পদ্মা সেতু দেখতে আগত পর্যটকদের জন্য সেতুর পাশে পর্যটন সুবিধা প্রবর্তনের কাজ চলছে।
ঢাকা ক্রুজ এন্ড লজিস্টিকস এর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী শামীমা জাফরিন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক হাজেরা খাতুন, লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।