অনলাইন ডেস্ক::
শেষ হলো বিআইডব্লিউটিএ’র চারদিনব্যাপী শক্তিশালী উচ্ছেদ অভিযান। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা পাড় দখল করা কামরাঙ্গীরচর এলাকার প্রায় ৩শ স্থাপনা। যার মধ্যে শ’খানেক ছিল বিশাল বিশাল অট্টালিকা। উচ্ছেদ করা জায়গায় শিগগিরই বসানো হবে স্থায়ী সিমানা পিলার।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের অন্যান্য সংস্থার ভুলের কারণেই তাদের গুণতে হল কোটি টাকার মাশুল।
একের পর এক গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। শক্তিশালী এক্সক্যাভেটরের তাণ্ডবে মাটিতে মিশে যাচ্ছে নদীর জায়গা দখল করা শত শত স্থাপনা। বুড়িগঙ্গার উত্তর পাড় দখলমুক্ত করতে চলমান অভিযানের শেষ দিনের সকালে কামরাঙ্গীরচরের এ অংশটি পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। শুরুতেই নতুন স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে থাকা দুটি তিনতলা, ১টি ৫ তলা ও ১টি ৬ তলা ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, দখলদাররা জমি বিক্রি করে দিয়েছে। পরে সরকারিভাবে সীমানা পিলার বসানোর পরই তারা স্থাপনা নির্মাণ করেন।
গত চারদিনে এলাকার প্রায় ৩শ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ২০১২ সালে স্থাপিত ভুল পিলারগুলো সরিয়ে এখন স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো গুলজার আলী বলেন, ২০১২ সালের স্থাপিত এই সীমান পিলার নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ আপত্তি জানালে, দাবি অনুযায়ী নদী কমিশন,মন্ত্রণালয়,বিআইডব্লিউটিএ একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে ভুল পিলারগুলো সরিয়ে এখন স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হবে।
উচ্ছেদ না করা সরকারি স্কুল ও মসজিদটি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে বলেও জানায় বিআইডব্লিউটিএ।