শুক্রবার, ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:১৫
শিরোনাম :
নলছিটিতে মা ও ছেলের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ জুলাই গন অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত বেলালকে সরকারি সহায়তার চেক প্রদান। ভাবির সঙ্গে পরকিয়া, যৌতুকের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোটুটা বিছানা নোংরা করে মরতে যাচ্ছে: ম্যারাডোনার মৃত্যু-মুহূর্তে চিকিৎসক

অনলাইন ডেস্ক::

কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবু তার মৃত্যুকে ঘিরে আলোচনা থামছেই না। মৃত্যুর সময় তিনি কোনো অবহেলার শিকার হয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এর মাঝেই এবার বোমা ফাটাল আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ইনফোবে’।

ফাঁস হয়েছে ম্যারাডোনার মৃত্যুমহূর্তে তার ডাক্তারদের মেসেজ চালাচালির কিছু স্ক্রিনশট। এই দু’জন হলেন ম্যারাডোনার দীর্ঘদিনের চিকিৎসক লিওপোলদো লুক এবং মনোবিদ অগাস্তিনো কোসাচভ।

গত ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মাঝেই মারা যান ম্যারাডোনা। সেদিন সকালে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লুক ও কোসাচভের মধ্যে মেসেজ চালাচালি হয়। মিডিয়ায় ম্যারাডোনার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর দেখে লুক তখন তার এক সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেসেজে লুক লেখেন, ‘আমি রাস্তায় আছি। মনে হচ্ছে (ম্যারাডোনা) মারা গেছে। না, আমি বাজি ধরতে পারি, মারাই গেছে। সান আন্দ্রেজ দিয়ে, যে পথ দিয়ে আমরা সাধারণত আসি, তোমাকে সে পথ দিয়েই আসতে হবে।’

এরপর লুককে তার পরিচিত একজন ম্যারাডোনার মৃত্যু সংবাদের স্ক্রিনশট পাঠায়। সেই স্ক্রিনশট দেখে লুক লেখেন, ‘হ্যাঁ, মনে হচ্ছে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মোটু বিছানা নোংরা করে মরবে। কী হয়েছে কে জানে! আমি সেখানে যাচ্ছি।’

এরপরেই মনোবিদ কোসাচভ তাকে লেখেন, ‘জরুরি চিকিৎসক দল তাকে (ম্যারাডোনা) বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা এটা ১০-১৫ মিনিট ধরে করছি। অ্যাম্বুলেন্স এখনো আসেনি। এখানে এসেই দেখেছি তার শরীর ঠান্ডা। তার চেতনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা ফিরেছিল। এখন ওরা সঙ্গে আছে। তারা আমাকে কিছু জানাচ্ছে না। আমি বের হয়ে এসেছি।’

কোসাচভের মেসেজের জবাবে লুক লেখেন, ‘ওরা আমার ওপর রেগে আছে কিনা জানাও। আর দুশ্চিন্তা করো না, শান্ত থাক। যেটা হওয়ার কথা, সেটা হবেই। তিনি খুবই জটিল রোগী ছিলেন। যা হওয়ার হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসে, তখন সেটা সামাল দেব। অগাস্টিন, চিন্তা নেই, তার (ম্যারাডোনা) পরিবার তো সব জানে।’

প্রসঙ্গত, ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা এর আগে বাবার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঘুমের মাঝে হার্ট অ্যাটাকে ম্যারাডোনা মারা গেছেন।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা