নিজস্ব প্রতিবেদক::
-#শুভেচ্ছা_বাণী——————-
আসসালামু আলাইকুম। আজ পহেলা মে। মহান মে দিবস। দেশে বিদেশে কর্মরত সকল শ্রমজীবী যেখান থেকেই নিজের জীবনবাজী রেখে নিজের জীবিকার জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য সর্বোপরি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কর্মে নিয়োজিত আছেন সবাইকে স্বশ্রদ্ধ সালাম।
১৮৮৬ সালে ১লা মে অনধিক ১০ ঘন্টা শ্রমঘন্টা নির্ধারণের জন্য আমেরিকা শিকাগো শহরে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের হে মার্কেটের নিকট গেলে সৈনিকরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষেরূপ নেয়। বহু শ্রমিক হতাহত হয়…
১৮৮৮ সালে ১লা মে কর্মঘন্টা ৮ ঘন্টা নির্ধারণের দাবীতে সেন্ট লুইস শ্রমিক সম্নেলনে “মে দিবস” পালনের ঘোষণা দেয়। ১৮৮৯ সালের প্যারিস সম্মেলনে শ্রমিক শ্রেণীর জন্য দেশে দেশে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না পেলেও ১৮৯০ সালে ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে ও ১ লা মে কে “মে দিবস” হিসেবে পালন করে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের চাপে, রুশ বিপ্লবের প্রভাবে সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা শুরু হয়। এভাবেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ক্রমে আদায় হতে থাকে।
আমাদের প্রিয় শান্তির ধর্ম ইসলাম শ্রমজীবী মানুষদের সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। ’ (ইবনে মাজাহ। )
আমাদের দেশেও খুব গুরুত্ব সহকারে মহান মে দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী শ্রমিক রয়েছে পোশাক শিল্পে। যাদের কল্যাণে দেশ আজ উন্নয়শীল থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে।
পোশাক শিল্পের মালিক শ্রেণীও নিজেদের স্বপ্ন ও ঝুঁকি নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে তিলে তিলে কারখানা গড়ে তুলেছেন। তাই উভয় শ্রেণীর গুরুত্ব অত্যন্ত উঁচুমানের। উভয় শ্রেণীর মধ্যে যে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে তা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে সবার চেয়ে বেশী ভূমিকা রাখতে চাই।
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সুমন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শ্রমিকদের মজুরিবৃদ্ধিসহ সার্বিক কল্যান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে। এর সুফল পাচ্ছে দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ।
আজ মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সুমন,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক।