বুধবার, ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:১৬
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক::

চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে খাদ্যশস্য সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার (০৯ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম।

ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ৬টি বিভাগের আওতাধীন সব জেলার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিলমালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে।

১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রেরণ করা হয়েছে। কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে।

তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। তাই ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় ওজনের অতিরিক্ত ধান নেয়া যাবে না এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল, রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। যদি কোনো মিলার তা দেয়; তবে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনোভাবেই সেই চাল গ্রহণ করবে না।

যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।

পাশাপাশি যারা মৌসুমী ব্যবসায়ী, ধান ক্রয় করেন তাদেরকে ফুড গ্রেন লাইসেন্স নিতে হবে। কি পরিমাণ ধান ক্রয় করলেন এবং কোনো মিলে তা সরবরাহ করলেন সেই চালানের নাম্বার সহ একটা প্রতিবেদন প্রতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট খাদ্য অফিসে দাখিল করতে নির্দেশ দেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।

বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি, তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে বলে জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এজন্য তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপদ দূরত্ব বজায়, রেখে মুখে মাস্ক পরিধান করে চলার আহবান জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা